খালেদা জিয়ার গুলশনের কার্যালয়ে দুই ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের পরোয়ানা নিয়েই তাদের এই অভিযান। খালেদার দল বিএনপির অভিযোগ, অজ্ঞাতনামা জিডিকে ভিত্তি করে খালেদাকে ‘মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত’ করতে এই অভিযান।
সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ গুলশনের ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেখানকার একজন কর্মী সোহরাব হোসেন বলেন, “পুলিশ সদস্যরা প্রথমে কার্যালয়ের সামনের ৮৬ নম্বর সড়কের দুই প্রান্ত আটকে দেয়। এরপর শুরু হয় তল্লাশি।”
অভিযানের আগে গুলশন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকি বলেন, “আমাদের কাছে আদালতের নির্দেশ আছে এই কার্যালয়ের ভেতরে রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কিছু আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার। পরোয়ানা রয়েছে, সেই অনুযায়ী তল্লাশি শুরু করেছি।”
স্থানীয়রা জানান, তল্লাশি শুরুর আগে পুলিশ খালেদার কার্যালয় ও এর আশপাশের সড়কগুলোতে নিরাপত্তা প্রহরা বাড়িয়ে দেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ওই এলাকায় সাধারণ কোনও যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালানোর পরে গুলশন থানার ওসি আবু বকর বলেছেন, “যে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়, সে রকম কিছু পাওয়া যায়নি।”
এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ডিএমপির গুলশন জোনের উপ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ। অভিযান শেষ হলে সকাল পৌনে ১০টার দিকে সড়কে বসানো ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: হাসিনার ডাকে কাছে আসছেন দলের বিক্ষুব্ধরা, গুরুত্ব শরিকদেরও
শনিবার সকাল ন’টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি ঘটনাস্থলে আসেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে কার্যালয়ের ভেতর যান। কিছু সময় পরে আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আসেন। এর পরে বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর রায়, জয়নাল আবদীন ও অনেক নেতা কর্মী খালেদার এই কার্যালয়ে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy