পাইপের লিক আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা নাইমের। (বা দিকে) কার্টুনে নাইম যেন সুপারম্যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ছবি দু’টি।
ছোট্ট ‘সুপারম্যান’ নাইম ইসলাম এখন রীতিমতো তারকা। ঢাকার বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে বহু মানুষের সঙ্গে সে-ও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল লড়াইয়ে। দমকলের পাইপের একটি লিক বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা দাঁতে দাঁত চেপে বসেছিল সে। কড়াইল বস্তির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নাইমের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে তার অনুকরণে সুপারম্যানের কার্টুনও জনপ্রিয় হয়। গরিব নাইমের রোজ খাবার জোটে না। তবু সে স্থানীয় আনন্দ স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে, কারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পুলিস অফিসার হওয়া তার জীবনের লক্ষ্য।
আদতে সিলেটের বাসিন্দা মার্কিন প্রবাসী ফারুক সামি জানিয়েছেন, নাইমের ইচ্ছা পূরণের জন্য তার পড়াশোনার দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন। সঙ্গে ৫০০০ ডলার পুরস্কারও তিনি দিচ্ছেন ছোট্ট এই সুপারম্যানকে। সামি জানিয়েছেন, ‘‘মানুষের প্রতি নাইমের ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। এত কষ্টের মধ্যেও সে লেখাপড়া করে চলেছে, কারণ পুলিশ অফিসার হতে চায়। তার ইচ্ছাপূরণে সহযোগী হতে চাই।’’
আরব আমিরশাহির বাসিন্দা চট্টগ্রামের জাহাঙ্গির হোসাইন আবার নাইমের সাহসিকতার ইনাম হিসেবে তার দুবাই ভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন বলে জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গির জানিয়েছেন, ‘‘নাইমের মানবিক কাজ আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি তার দুবাই বেড়ানোর বন্দোবস্ত করছি। ভিসা, বিমান টিকিট-সহ বেড়ানোর সব খরচ আমি দেব।’’ নাইমের মা নাজমা বেগম জানিয়েছেন, ‘‘নাইমের পাসপোর্ট নেই। সে ব্যবস্থা হলে তাকে দুবাই যেতে দিতে আমার আপত্তি নেই।’’ আর এ সব শুনে নাইম শুধু হেসেছে। সকাল থেকে অনেক মানুষ ভিড় করে তাকে দেখতে এসেছেন। পুরস্কার, দুবাই বেড়ানো— এই সব খবর পেয়ে সে বলেছে, ‘‘সবই ভাল। আনন্দের খবর। কিন্তু কী এমন আমি করেছি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy