‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজারের বহু জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র।
সকাল সাড়ে ৬টা। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোরা। এর পরেই সে নিম্নচাপ হয়ে ত্রিপুরার দিকে ঢুকে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল-সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ১০০ থেকে ১২৮ কিলোমিটার বেগে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে চকরিয়ায় দু’জন গাছ চাপা পড়ে এবং কক্সবাজার সদরে এক জন আতঙ্কে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন। গাছ চাপা পড়ে নিহত দু’জন হলেন জেলার চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালির রহমত উল্লাহ (৫০) এবং একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)। অন্য দিকে, কক্সবাজার পুরসভার নুনিয়াচটা আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কে মারা গিয়েছেন মরিয়ম বেগম (৫৫)।
আরও পড়ুন: ‘মোরা’র হাত ধরে বর্ষা এল দেশে, বৃষ্টি শুরু কেরলে, উত্তর-পূর্বেও
সেন্টমার্টিন, কুতুবদিয়া-সহ কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বেলা ১১টার পর এই ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে। উপকূল অতিক্রমের পরেই ঘূর্ণিঝড় মোরা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের স্থলভাগে ঢুকে পড়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজারও রাঙামাটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মোরায় অন্তত ২০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের।
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র এখনও উত্তাল। উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া-সহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy