বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
বিচারকাজ শেষ হয়ে যাওয়া একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের যে দাবি উঠেছে, তাকে কী ভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় আনা যায় সেটা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।’’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে কিছু বলা নেই। নতুন করে আইন বানাতে হবে।’’
আইন বিশ্লেষকদের মতে, নতুন আইন করে অথবা নির্বাহী আদেশ জারি করে সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। তবে তা নিয়ে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনালস) আইন সংশোধন করে দণ্ডিত অপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নিয়ম যুক্ত করা। এতে কোনও ধরনের আইনি জটিলতা থাকবে না। কারণ সংবিধানের ৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, ওই আইনের কোনও কিছুই চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। যুগোস্লাভিয়া ও রুয়ান্ডায় যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিধান তাদের আইনেই আছে।
আরও খবর- ভিসা দিতে অকারণে বেশি কড়াকড়ি করছে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিশ্লেষকরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলছেন, মির কাসেম আলি শুরুতে এই বিচার বানচাল করার এবং পরে নিজের বিচার ঠেকাতে বিদেশি লবিস্টদের পেছনে বিপুল অর্থ খরচ করেছেন। জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম-সহ দেশবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তাঁর সম্পদের একটি অংশ খরচ হত। তাঁর রেখে যাওয়া বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ভবিষ্যতেও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। এ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করার দাবি রয়েছে বাংলাদেশে গত কয়েক বছর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy