বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা উইপোকার মতো— বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের এই মন্তব্য ‘অবাঞ্ছিত’ বলে মনে করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সোমবার ইনু বলেছেন, ‘‘এ কথা তাঁর বলাটা ঠিক হয়নি।’’
শনিবার রাজস্থানের একটি কর্মীসভায় অমিত বলেন, ‘‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা উইপোকার মতো। এদের এক এক করে খুঁজে দেশের বাইরে বার করে দেওয়া উচিত।’’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতের নানা জায়গায় বসবাসকারী বাংলাভাষীরা যে বাংলাদেশি নয়, সেটি অমিত শাহ নিশ্চয়ই জানেন। কোনও বাংলাদেশি ভারতে বসবাস করেন না।’’ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটা ভারত সরকারের অবস্থানও নয়। ভারত-বাংলাদেশে সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে জানিয়ে ইনু বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক অমিতের মন্তব্য নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকে কোনও অভিযোগ জানাচ্ছে না।’’
খসড়া নাগরিক পঞ্জিতে (এনআরসি) যাঁদের এখনও নাম ওঠেনি, এমন মানুষদের সম্পর্কে অমিত শাহের মন্তব্যের জেরে তপ্ত অসমের বরাক। অস্বস্তিতে বরাক বিজেপির বাঙালি নেতারা। বরাকের মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ যে সভাপতির বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হচ্ছে বিজেপি নেতাদের। বরাকের বাঙালি নেতারা প্রকাশ্যেই বলছেন, এনআরসি সম্পর্কে ‘জেনেবুঝে’ কথা বলা উচিত অমিত শাহের। প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রাজদীপ রায়ের আশঙ্কা, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য ২০১৯-র ভোটে প্রভাব ফেলবে।’’ তাঁর বক্তব্য, বহু প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক খসড়ার বাইরে রয়েছেন। তাঁদের অনু্প্রবেশকারী বা উইপোকা বলা যায় না। তাঁর মতে, ‘‘বিজেপি সভাপতির বক্তব্যে তাঁরা আঘাত পাচ্ছেন।’’ রাজদীপ আবার আগামী লোকসভা ভোটে টিকিটের দাবিদার। তাই তাঁর সমস্যা বেশি। অমিতের মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন হিন্দু লিগ্যাল সেলের অসম প্রদেশ আহ্বায়ক ধর্মানন্দ দেবও। এ ধরনের কথা সুপ্রিম কোর্ট অবমাননা বলেও তিনি মনে করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy