Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata-Khulna

‘অযান্ত্রিক’ আবেগে কলকাতা-খুলনা ট্রেন যাতায়াত শুরু হয়ে গেল

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে খুলনা স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বন্ধন এক্সপ্রেস। এর আগে সকালে কলকাতা স্টেশন থেকে যাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা স্টেশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি।

খুলনায় ট্রেনের উদ্বোধন করছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ছবি: সংগৃহীত।

খুলনায় ট্রেনের উদ্বোধন করছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ছবি: সংগৃহীত।

অঞ্জন রায়
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:৩১
Share: Save:

৫২ বছর। আধা শতকের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর, আবার চাকা গড়ালো বন্ধন এক্সপ্রেসের। এ শুধু একটি রেলগাড়ির সীমান্ত পেরিয়ে এপার ওপার না। এ যেন ঋত্বিক ঘটকের ‘অযান্ত্রিক’ সেই আবেগ। আবারও শোনা গেল খুলনা-কলকাতা রেলপথে কু ঝিক ঝিক শব্দ। ২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রা শুরু করল ‘বন্ধন এক্সপ্রেস। যাত্রা বাণিজ্যিক হলেও এতে জড়িয়ে আছে আবেগ, স্মৃতি আর বন্ধুত্ব। সেই কারণেই ট্রেনটির নাম- বন্ধন এক্সপ্রেস। আজ, বৃহস্পতিবার শুরু হল বাণিজ্যিক যাত্রা।

আরও পড়ুন: খাবার পরিবেশনে রোবট, কলকাতাকে টেক্কা দিল ঢাকা

আরও পড়ুন: শি চিনফিংয়ের ছবি লাগালেই দূর হবে দারিদ্র!


বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে খুলনা স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বন্ধন এক্সপ্রেস। এর আগে সকালে কলকাতা স্টেশন থেকে যাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা স্টেশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি। কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা খুলনা স্টেশন থেকে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধন করেন। তিনি বললেন, “ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। সুবিধা হবে রোগী ও বৃদ্ধদের যাতায়াতে। অসুস্থ ও বৃদ্ধদের ভিসা সহজ করা হবে। সরাসরি ট্রেন চালুর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগও অনেকটা কমবে।”
খুলনা-কলকাতা রেলপথ ১৭৫ কিলোমিটারের। বন্ধন এক্সপ্রেসে ১০টি কোচ থাকছে। তার মাঝে ইঞ্জিন ও পাওয়ার কার ২টি। বাকি ৮টি কোচ যাত্রীদের জন্য। সেখানে ৪৫৬ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। ভাড়া এসি সিট ২ হাজার টাকা। আর এসি চেয়ার ১৫শো টাকা। খুলনা থেকে কলকাতায় যেতে কাস্টমস আর ইমিগ্রেশনের সময় নিয়ে মোট ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় খরচ হবে যাত্রীদের।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই রেল পথের যোগাযোগ। ৫২ বছর পরে গত ৯ নভেম্বর দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুইচ টিপে বন্ধন এক্সপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা করেন। আজ থেকে সেই পথে চলা শুরু করলেন যাত্রীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE