কুশল বিনিময়: হাসপাতালে আহত লেখককে দেখতে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজস্ব চিত্র
পিছনে পুলিশ, তার পিছনে ঘাতক। অজান্তে এ ভাবেই গত কয়েক সপ্তাহ ঘোরাফেরা করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন ছুরি নিয়ে জাফর ইকবালকে আক্রমণ করে ফয়জুল হাসান। ছাত্ররা তাকে ধরে পুলিশে দেওয়ার পরে জেরায় ফয়জুল জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই সে জাফরকে অনুসরণ করে এসেছে। মুক্তমঞ্চেও সে জাফরের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে সুযোগ খুঁজছিল। পুলিশের পাশ থেকেই সে অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে লেখক জাফর ইকবালের ওপর। এক পুলিশকর্মী বাধা দিতে গিয়ে ছুরির ঘায়ে জখম হন। কেন সে জাফর ইকবালকে খুনের চেষ্টা করল, সে প্রশ্নের জবাবে মাদ্রাসা ছাত্র ফয়জুল জানিয়েছে— ‘উনি ইসলামের শত্রু’।
কিন্তু হামলাকারী অনুসরণ করলেও সর্বক্ষণ পাহারায় থাকা পুলিশ কেন তা বুঝতে পারল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই পুলিশ কর্মীকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শনিবারের এই হামলার পিছনে একাধিক লোক রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত। হামলার পরেই এক জনকে মোটরসাইকেল চড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। সে দিন মঞ্চে পিছনে দাঁড়ানো ফয়জুল ছাড়া আরও এক জন অপরিচিতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা চিহ্নিত করে পুলিশকে জানিয়েছেন। জঙ্গিদমন শাখা একটি বিশেষ দল গড়ে এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
আহত লেখক জাফর ইকবালের শারীরিক পরিস্থিতি অনেকটা ভাল বলে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিন হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy