ফাইল চিত্র।
র্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশের সব বিমানবন্দর ও কারাগারে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের পরই শুক্রবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। তার পরই আজ বিকেল তিনটে নাগাদ বাংলাদেশের ৬৮টি কারাগার এবং সব নদীবন্দর ও বিমানবন্দরকে সর্বোচ্চ সতর্কতার নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রক আলাদা আলাদা ভাবে জারি করেছে সতর্কবার্তা।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক ইকবাল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “উত্তরার ঘটনার পর দেশের সব কারাগারে অধিকতর সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে এটিকে তিনি ‘রেড অ্যালার্ট’ নয়, ‘অধিকতর সতর্কতা’ বলছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর বলেছেন, “আমরা সব সময়ই সতর্ক। যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।” সারা দেশে মোট ৬৮টি কারাগারে ৭০ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে দেশের বিমাবন্দরগুলোতেও বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রক। মন্ত্রকের জনসংযোগ কর্তা মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে অধিকতর সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ঢাকায় র্যাব শিবিরের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ
এর পর গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক বাড়ি থেকে বিস্ফোরক-সহ এক জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাশের ওয়ার্ডে আর এক বাড়িতে দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও সোয়াট।
আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও গুলিতে এক মহিলা-সহ চার জঙ্গির নিহত হওয়ার মধ্যে দিয়ে সীতাকুণ্ড অভিযানের সমাপ্তি ঘটে। নিহত নারী জঙ্গির পাশে পরে এক শিশুরও বোমায় ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy