এমনই ভয়াবহ অবস্থা আবুল বাজানদারের।
হাতের আঙুল নাকি গাছের শিকড় সহ কাণ্ড? হঠাৎ করে দেখলে ভ্রম জাগবেই। দুই হাতের তালুর চামড়া এবং আঙুলগুলি প্রসারিত হয়ে দেখতে লাগছে অনেকটাই গাছের শিকড়ের মতো। পা’য়ের আঙুল আর তালুর অবস্থাও একই। হাত ও পায়ের আঙুল নখহীন। ‘শিকড়ে’র জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছে নখগুলি! বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা আবুল বাজানদারের অবস্থাটা এরকমই।
কিন্তু কবে থেকে এমন অবস্থা আবুলের? জানা যাচ্ছে যে, বছর দশেক আগে আবুলের হাঁটুর নিচের দিকে ছোট ছোট কয়েকটি কালো রঙের আঁচিল দেখা যায়। পরে এগুলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর দুই হাত ও পা’য়ে। হাতের আঁচিলগুলো বাড়তে থাকে দ্রুত। বাড়তে বাড়তে এতটাই বড় হয়ে যায় যে, সেগুলিকে দেখে গাছের শুকনো ত্বকের মতো মনে হতে থাকে। খুলনায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনও কাজ করতে পারেন না একদা পেশায় রিক্সা চালক আবুল।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, গত ১০ বছর ধরে হাত-পায়ে শেকড় মতো গজানোর মতো বিরল এক জেনেটিক রোগে ভুগছেন আবুল বাজানদার। এপিডার্মো ডিসপ্লেশিয়া ভেরুকোফরমিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই এই রোগ হয়ে থাকে। ২০১৬ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে সরকারি খরচে আবুল বাজানদারের চিকিৎসা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: জামাতকে নিষিদ্ধই করতে চান হাসিনা
গত বছর মে মাসে দুই হাত-পা’য়ে অপারেশন হয়েছিল আবুলের। ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন যে, কখনোই পুরোপুরি ঠিক হবে না এটা; থাকতে হবে রোজকার চিকিৎসায়। কিন্তু হতাশ হয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আবুল। কিন্তু তার প্রায় আট মাস পরে আবার হাতে আগের মতোই শিকড় গজিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে দেখানোর জন্য আসতে হয় তাঁকে। নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যে না থাকাতেই এই রোগের বাড়-বাড়ন্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেই সময় হাসপাতাল ছেড়ে গিয়ে তিনি ভুল করেছিলেন বলে স্বীকারও করেছেন আবুল।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাফেতে হামলায় ৩৯ লাখ টাকা, অস্ত্র গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে, স্বীকারোক্তি ধৃত জঙ্গি নেতার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy