গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘রাজ’ বদলাবে না কি ‘রেওয়াজ’? গত বছরের নভেম্বরে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিল উত্তর ভারতের আর এক রাজ্য হিমাচল। এ বার পালা রাজস্থানের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে কর্ণপাত না-করে ৩৭ বছরের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের রীতি বজায় রেখেছিল হিমাচল। এ বার কি একদা ‘জাদুকর’ অশোক গহলৌতের ছোঁয়ায় ৩৮ বছরের ‘রেওয়াজ’ ভাঙবে রাজস্থান? তেমনটা হলে লোকসভা নির্বাচনের আগে দুশ্চিন্তা বাড়াবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের। আর না-হলে ‘সেমিফাইনালে’ ধাক্কা খাবেন রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গেরা।
বিবিধ জনমত সমীক্ষায় বিজেপির ক্ষমতা দখলের পূর্বাভাস সঙ্গী করেই শনিবার (২৫ নভেম্বর) প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে রাজস্থান। ফল জানা যাবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। ভারতে ভোটের ইতিহাস অবশ্য বলছে, আসল ফলের সঙ্গে জনমত সমীক্ষা বা বুথফেরত সমীক্ষা অনেক সময়েই মেলে না। তবে ফলাফল মিলে যাওয়ার উদাহরণও আছে অনেক।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ১০১। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, পাঁচ বছর অন্তত সরকার বদলের প্রথা মেনেই এ বার কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়পুরের কুর্সি দখল করতে পারে বিজেপি। এবিপি-সি ভোটার জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস বিজেপি ১১৪ থেকে ১২৪টি আসনে জিতে সরকার গড়তে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ৬৭ থেকে ৭৭টি আসন। নির্দল এবং অন্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৫ থেকে ১৩টি আসন। যদিও মরুরাজ্যে বরাবরই প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় কম ভোটের ব্যবধানে। তেমন হলে ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে নির্দল এবং ছোট দলগুলির ভূমিকা।
এ বার শ্রীগঙ্গানগর জেলার করণপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ১৯৯টি আসনে প্রার্থী দিলেও শাসক কংগ্রেস লড়ছে ১৯৮টি আসনে। ২০১৮ সালের মতোই ভরতপুর কেন্দ্রে রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-এর বিদায়ী বিধায়ককে সমর্থন করছে গান্ধী-খড়্গের দল। অন্য দিকে, প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রার্থী রয়েছে ১৯৯টি বিধানসভা আসনেই। বিএসপি ১৮৫, সিপিএম ১৭, সিপিআই ৯ আসনে লড়ছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সমর্থনে নগৌর লোকসভা আসনে জেতা হনুমান বেণীওয়ালের দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (আরএলপি) এ বার এনডিএ ছেড়ে রাবণের দলের সঙ্গে সমঝোতা করে ৭৮ আসনে লড়ছে। গুজরাতের প্রভাবশালী আদিবাসী বিধায়ক ছোটু বাসভের ‘ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি’ (বিটিপি)-ও প্রার্থী দিয়েছে ১৭টি কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে ১,৮৬৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন মরুরাজ্যের ৫ কোটি ২৫ লক্ষের বেশি ভোটদাতা।
বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (ঝালারাপাটন) এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (অম্বর)। বিধানসভা ভোটে সাত জন লোকসভা সাংসদকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী, ঝুনঝুনুর সাংসদ নরেন্দ্র কুমার, জালৌরের বিজেপি সাংসদ দেবজী পটেল, অজমেরের ভগীরথ চৌধুরি এবং অলওয়ারের সাংসদ মহন্ত বালকনাথ। এ ছাড়াও, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রবীণ রাজ্যসভা সাংসদ কিরোরীলাল মিনাকে প্রার্থী করা হয়েছে সওয়াই মাধোপুর কেন্দ্রে।
অন্য দিকে, কংগ্রেসের উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (সর্দারপুরা), প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (টঙ্ক), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিংহ দোতাসরা, প্রাক্তন এশিয়াড পদকজয়ী ‘ডিসকাস থ্রোয়ার’ কৃষ্ণা পুনিয়া এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত যশোবন্ত সিংহের ছেলে মানবেন্দ্র। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যুযুধান দুই প্রধান প্রতিপক্ষের কেউই আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ হিসাবে কোনও নাম ঘোষণা করেনি।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ১০০টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। সহযোগী আরএলডি একটিতে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৭৩টি আসন। বিএসপি ৬, আরএলপি ৩, বিটিপি ২, সিপিএম ২ এবং নির্দল প্রার্থীরা ১৩টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। আসনের ফারাক ২৭ হলেও কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল ১ শতাংশের সামান্য বেশি— ৩৯.৩ এবং ৩৮.১ শতাংশ। সেই ভোটের ফল বলছে, পশ্চিম রাজস্থানের মেবার এবং দক্ষিণের মারওয়াড় অঞ্চলে সমানে সমানে টক্কর দিলেও উত্তরের শেখাবতী এবং মধ্য ও পূর্ব রাজস্থানের দুন্দাড়-হরৌতি অঞ্চলে পিছিয়ে পড়েছিল বিজেপি। ওই দুই এলাকায় চিরাচরিত জাঠ ভোটের পাশাপাশি পাইলটের সক্রিয়তার কারণে গুর্জ্জরদের বড় অংশ সে বার ভোট দিয়েছিল কংগ্রেসকে। এমনকি, বিজেপির রাজপুত ভোটব্যাঙ্কও পুরোপুরি অক্ষত থাকেনি।
বস্তুত, এ বার গোড়া থেকেই প্রচারপর্বে বিজেপির তুলনায় অগোছালো দেখিয়েছে কংগ্রেসকে। রাজস্থানের ভোট ঘোষণার এক মাস কেটে যাওয়ার পরেও সেখানে যাননি রাহুল (যা নিয়ে কটাক্ষও করেছে বিজেপি)। ভোটের মাত্র ন’দিন আগে প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। জল্পনা রয়েছে, গহলৌত যে ভাবে তাঁর অনুগামীদের টিকিট দিয়েছেন, তাতে রাহুল অসন্তুষ্ট। বিশেষত, গত বছর কংগ্রেস হাইকমান্ড যখন গহলৌতকে কংগ্রেসের সভাপতি করতে উদ্যোগা হয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদে পাইলটকে বসাতে ‘সক্রিয়’ হয়েছিল, তখন যে সব বিধায়ক বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁদের অনেককেই গহলৌতের ‘চাপে’ এ বার টিকিট দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রার্থীবাছাই নিয়ে দিল্লিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে রাহুলের সঙ্গে গহলৌতের মতান্তর হয়েছিল। সনিয়া গান্ধী এবং খড়্গের সামনেই সেই ঘটনা ঘটেছিল।
সম্ভবত, এমন সম্ভাবনার আঁচ পেয়ে আড়াই মাস আগেই সক্রিয় হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে। যুযুধান দুই নেতার মধ্যে ভারসাম্যের নীতি নিয়ে জুলাই মাসে গড়া হয়েছিল ২৯ সদস্যের প্রদেশ কংগ্রেস নির্বাচন কমিটি। তাতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত এবং পাইলট দু’জনেই। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। গত সপ্তাহে রাহুলের কর্মসূচিতে গহলৌত-পাইলট হাতে-হাত ধরে ছবি তুললেও বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে দলের অন্দরে।
২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ চালাতে গিয়ে ‘ব্যর্থ’ হয়েছিলেন পাইলট। অনুগামী ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লির অদূরে মানেসরে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি। কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের মতোই বিজেপির সহায়তায় পাইলট রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে পারেন। তবে কিছু দিন পরেই বিদ্রোহে ইতি টানেন প্রয়াত রাজেশ পাইলটের পুত্র। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে।
এর পর গত তিন বছর ধরে পাইলট বার বার প্রকাশ্যে খোঁচা দিয়েছেন গহলৌত এবং তাঁর সরকারকে। কখনও বসুন্ধরার সঙ্গে ‘গোপন যোগাযোগ’-এর অভিযোগ তুলে। কখনও বা বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার ‘প্রশ্ন ফাঁস’ প্রসঙ্গে। গহলৌত শিবিরও ‘দুশমন’ বিজেপির সঙ্গে একই সারিতে রেখে তুলোধনা করেছে ‘বিভীষণ’ পাইলটকে। এ বার ফের প্রার্থী হলেও পাইলট সার্বিক ভাবে প্রচারে তেমন গা ঘামাননি। নিজের এবং ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের কেন্দ্রেই প্রচার সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বিজেপিতেও। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী ‘ঢোলপুরের মহারানি’ বসুন্ধরার নাম দলের প্রথম দফার প্রার্থীতালিকায় ছিল না। সে সময়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, অনুগামীদের নিয়ে বিদ্রোহ করবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। তবে বাদ পড়েছেন অন্তত দু’ডজন অনুগামী। তাঁদের অর্ধেক নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েও পড়েছেন। বিদ্রোহীরা কয়েকটি আসনে বিজেপির ‘পথের কাঁটা’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জল্পনা, ক্ষমতায় ফিরলেও বসুন্ধরাকে আর মুখ্যমন্ত্রী করবে না বিজেপি। জয়পুরের কুর্সির ‘সম্ভাব্য দাবিদার’ হিসাবে রাজ্যবর্ধন, সতীশের পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছে ‘রাজস্থানের যোগী আদিত্যনাথ’ নামে পরিচিত অলওয়ারের সাংসদ বালকনাথের নাম।
এই পরিস্থিতিতে আশায় বুক বাঁধছেন গহলৌত এবং তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের ‘হাতিয়ার’ গত পাঁচ বছরের নানা জনমুখী কর্মসূচি। চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্যবিমা যোজনা, মহিলাদের মোবাইল, স্বাস্থ্যের অধিকার আইন, পুর এলাকার নাগরিকদের রোজগার নিশ্চয়তা আইন রয়েছে এই তালিকায়। সেই সঙ্গে রয়েছে ভোটে জিতলে আরও ‘সাত দফা জনমুখী কর্মসূচি’ রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের অনুকরণে ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’য় পরিবারের মহিলা প্রধানকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা ভাতা, রাজ্যের ১ কোটিরও বেশি পরিবারকে ৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা, সরকারি কলেজের পড়ুয়াদের বিনামূল্যে ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট দেওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা অনুদান, সকলের জন্য ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলশিক্ষা এমনকি, গবাদি পশুপালকদের কাছ থেকে দু’টাকা কেজি দরে গোবর কেনাও রয়েছে সেই তালিকায়।
ভোটের ফল যা-ই হোক, গহলৌত ইতিমধ্যেই প্রতিপক্ষ শিবিরকে তাঁর খয়রাতির রাজনীতি অনুসরণ করতে বাধ্য করেছেন। অতীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বার বার জনমুখী আর্থিক সাহায্যকে ‘রেউড়ি সংস্কৃতি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু ভোটের মুখে তাঁরই দল মহিলাদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে নির্বাচনী ইস্তাহারে। এ ছাড়া নারীশিক্ষায় গতি আনতে কংগ্রেসের মতোই ছাত্রীদের নিখরচায় পড়াশোনা, উচ্চশিক্ষার জন্য স্বল্পসুদে ঋণ, কৃষকদের ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়ানো, ঋণমকুব, কম দামে বীজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। এ ছাড়া গহলৌতের জমানায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে ধরে যুবসমাজের সমর্থন পেতে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাকরিতে নিয়োগে বিশেষ ভাবে জোর দিয়েছে পদ্ম-শিবির।
আর সেই সঙ্গেই সুকৌশলে উস্কে দেওয়া হচ্ছে মেরুকরণের রাজনীতি। গত বছর বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার ঘৃণাভাষণ সমাজমাধ্যমে সমর্থনের পর খুন হয়েছিলেন উদয়পুরের কানহাইয়া লাল। সেই খুনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরা হচ্ছে বারে বারে। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং উদয়পুরে প্রচারে সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন। তবে দেড় মাস পরেই পড়শি রাজ্য উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের সূচি থাকলেও রাজস্থানে এ বারের ভোটে রাম-লক্ষণ নেই ছিটেফোঁটাও। যা আশা যোগাচ্ছে কংগ্রেসকে।
রাজনীতিতে নামার আগে মঞ্চে জাদুকর বাবার সঙ্গে ম্যাজিক দেখাতেন গহলৌত। তাঁর ‘জাদুতে’ ভোটের শেষ প্রহরে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। যদিও ইতিহাস বলছে, অতীতে তিন দফায় কুর্সি পেলেও কখনও মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে দলকে ক্ষমতায় ফেরাতে পারেননি তিনি। এ বার কি ‘ম্যাজিক’ দেখা যাবে?