Rajasthan Assembly Election 2023

ভোটের আগেই ভোলবদল! নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েও বিজেপিতে যোগ গহলৌত-ঘনিষ্ঠের

বিজেপিতে যোগ দিয়ে গহলৌত-ঘনিষ্ঠ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। তাঁর কাজে আমি মুগ্ধ।”

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
জয়পুর শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৪৮
অশোক গহলৌত-ঘনিষ্ঠ রামেশ্বর দাধিচ। ছবি: সংগৃহীত।

অশোক গহলৌত-ঘনিষ্ঠ রামেশ্বর দাধিচ। ছবি: সংগৃহীত।

আগামী ২৫ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন রাজস্থানে। কিন্তু তার আগেই মরু রাজ্যের রাজনীতিতে ভোলবদলের খেলা শুরু হয়ে গেল। নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েও বিজেপিতে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের এক সময়ের ‘ছায়াসঙ্গী’ তথা জোধপুরের প্রাক্তন মেয়র রামেশ্বর দাধিচ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুলে নেন রামেশ্বর। তার পরই বিজেপিতে যোগ দেন। সুরসাগর কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দিয়ে গহলৌত-ঘনিষ্ঠ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় অনুপ্রাণিত হয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। তাঁর কাজে আমি মুগ্ধ। যদি মোদী প্রধানমন্ত্রী না হতেন তা হলে অযোধ্যায় রামমন্দিরই তৈরি হত না।”

রাজস্থানে ভোটের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত এবং সাংসদ রাজেন্দ্র গহলৌতের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন রামেশ্বর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহের কটাক্ষ, কংগ্রেসের নীতি এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিরক্ত দলেরই নেতারা। আর সে কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে একের পর এক নেতা বেরিয়ে আসছেন এবং অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “মরুরাজ্য থেকে কংগ্রেস সরকার উৎখাত হওয়ার এ বার সময় এসে গিয়েছে।”

শুধু গহলৌত-ঘনিষ্ঠ একাই নন, ‘ভোলবদলের’ রাস্তায় হেঁটে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দৌসা জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বিনোদ শর্মাও। তবে মরুরাজ্যে ভোটের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি দু’দলেরই অনেক নেতা নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে এ বার রাজস্থানের অনেক কেন্দ্রেই ভোট ত্রিমুখী হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। চিতোরগড় থেকে বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা চন্দ্রভান সিংহ আক্য, দিড়ওয়ানা থেকে ইউনুস খান, শিও থেকে রবীন্দ্র ভাটি, খান্ডেলা থেকে বংশীধর বাজিয়া, কোটার লাডপুরা থেকে ভবানী সিংহ শেখাওয়াত-সহ বেশ কয়েক জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অন্য দিকে, কংগ্রেসের অনেক নেতাও ভোটের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে প্রার্থী হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, বিধায়ক প্রকাশ চৌধরি, মহেন্দ্র বারজোড়, রাজকরণ চৌধরি এবং ব্রহ্মদেব কুমাওয়াত।

Advertisement
আরও পড়ুন