আগামী বছর আরও বাড়ছে ইমোজির ভান্ডার৷ ২০২২ সালে ১০৭টি নতুন ইমোজি যোগ হবে ভার্চুয়াল জগতে ৷ যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিন, অন্তঃসত্ত্বা পুরুষ এবং ফিঙ্গার হার্ট (যা কে-পপ তারকাদের মঞ্চে বিখ্যাত হয়েছিল)৷ এই নতুন ইমোজিগুলির ব্যবহার শুরু হয়ে গেলে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সব মিলিয়ে মজাদার পিক্টোগ্রামের সংখ্যা বেড়ে হবে ৩ হাজার ৪৬০।
হিসাব বলছে, ২০২০ সালে ইউনিকোড ইমোজি ১৩.০ এবং ১৩.১ আপডেটের আওতায় ৩৩৪টি নতুন ইমোজির দেখা মিলেছিল৷ চলতি বছর সব মিলিয়ে ২০৭টি নতুন ইমোজি চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, আমজনতা তাঁদের ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ইমোজি দেখতে বা ব্যবহার করতে পারবেন, সেটা নির্ভর করে মার্কিন অলাভজনক সংস্থা ইউনিকোড কনসর্টিয়ামের উপর। ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম নিজে ইমোজি তৈরি করে না। তারা শুধু বিষয়টির উপর নজরদারি চালায়। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি যে ইমোজি বা পিক্টোগ্রাম তৈরি করে, তার মাপকাঠি নির্ধারণ করে এই ইউনিকোড কনসর্টিয়াম।
আরও পড়ুন:
আজকের দিনে ইমোজির ব্যবহারের জন্য আর একজনের নাম না করলেই নয়। তিনি হলেন ইন্টারফেস ডিজাইনার শিগেতাকা কুরিতা। ১৯৯৯ সালে ১৭৬টি পিক্টোগ্রামের এক সমষ্টি তৈরি করেছিলেন তিনি। একটি জাপানি ফোন অপারেটর সংস্থার জন্য এই কাজ করেছিলেন শিগেতাকা। বস্তুত, ২০১০ সালের মধ্যেই জাপানে ইমোজির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পরে অবশ্য ইমোজির প্রকাশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ইউনিকোড কনসর্টিয়াম।