প্রতীকী চিত্র
এই ডিজিটাল যুগে পেশাগত কাজের পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীরা ল্যাপটপের উপরে অনেকাংশে নির্ভরশীল| যেমন বেশ কিছু বই বা পেপার থাকে, যেগুলির কোনও প্রিন্ট কপি বাজারে মেলে না। অথচ তার সফট কপি অনলাইনে পাওয়া যায়| কাজেই পড়াশোনাতেও ল্যাপটপ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ| তার উপর এখনকার ল্যাপটপে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর অনেক ফিচার যুক্ত হয়েছে। সেগুলিও আমাদের দৈনন্দিন কাজে বেশ প্রয়োজনীয়। তবে ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যেগুলো জানা দরকার। না হলে পড়তেই পারেন ফ্যাসাদে!
ল্যাপটপ কেনার আগে প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, তা হল মূলত কোন কাজের উদ্দেশ্যে ল্যাপটপটি চাইছেন। কারণ পড়াশোনা বা সাধারণ চাকরির কাজে এক রকম, অন্য দিকে গেমিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন বা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অন্য রকম ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়ে। দুইয়ের কনফিগারেশন আলাদা।
স্মার্টফোনের মতো ল্যাপটপ কেনার সময়েও কিছু সাধারণ স্পেসিফিকেশন একটু খেয়াল রাখতে হবে। যেমন- প্রসেসর, মেমরি, স্টোরেজ, গ্রাফিক্স, ডিসপ্লে এবং অবশ্যই তার ব্যাটারি লাইফ। এগুলো অবশ্যই নির্ভর করবে আপনি ল্যাপটপটি কোন কাজের জন্য কিনছেন, তার উপরে।
প্রথমত, আপনি যদি অফিস ওয়ার্ড বা স্টুডেন্টদের বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য শুধুমাত্র মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট জাতীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করার কথা ভাবেন, তবে যে কোনও বেসিক ল্যাপটপ-ই সেই কাজের জন্য যথেষ্ট। শুধু দেখে নেবেন ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি কত দিন রয়েছে এবং সার্ভিস সাপোর্ট কেমন? অর্থাৎ একটা বিশ্বস্ত এবং পরিচিত সংস্থার ল্যাপটপ হলে ভাল হয়। পরবর্তীতে ল্যাপটপে কোনও সমস্যা হলে তার হার্ডওয়্যার যাতে সহজে বাজারে পাওয়া যায়।
আপনি যদি গেমিং বা এডিটিং-এর জন্য ল্যাপটপ খোঁজেন, তা হলে অবশ্যই আপনাকে এমন ল্যাপটপ বাছতে হবে, যাতে গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়া কখনওই হেভি এডিটিং বা গেমিং সম্ভব নয়। সুতরাং তখন আপনাকে বাজেট বাড়িয়ে অন্তত 1080p ভিডিও এডিট করার জন্য core i5 12th gen-এর পাশাপাশি 1650ti গ্রাফিক্স কার্ড নিতেই হবে। আর যদি 4k এডিটিং-এর জন্য ল্যাপটপ খোঁজেন, তবে অন্তত 3rd জেনারেশন অর্থাৎ 3060, 3060ti, 3070 গ্রাফিক্স কার্ড থাকাটা খুবই দরকার।
এই ধরনের পেশাদার কাজে আজকের দিনে AI খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সুতরাং দেখে নেবেন আপনার বাছাই করা ল্যাপটপে কী ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ফিচার রয়েছে। সেগুলো যদি আপনার প্রয়োজন হয়, তবে এই ল্যাপটপ কিনে নিতে পারেন। অনেক সময়ে এডিটিং-এর কাজে এই ধরনের Generative Field খুব কাজে আসছে।
এর পরে খেয়াল রাখতে হবে ল্যাপটপটি আপনি সব সময়ে বাড়িতে বসেই ব্যবহার করবেন নাকি কাজের ক্ষেত্রে কোথাও যেতে হলে সঙ্গে নেবেন। সে ক্ষেত্রে ল্যাপটপটি অবশ্যই ওজনে হালকা এবং টেকসই হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি, দেখে নিতে হবে সেই ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণ দিচ্ছে। যদি গেমিং ল্যাপটপ হয়, তার ব্যাটারি ব্যাকআপ কিন্তু একদম কম। অন্য দিকে লাইট ওয়েট ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ অন্তত পাঁচ থেকে ছ’ঘন্টা। সুতরাং এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা অবশ্যই দেখে নেবেন।
ল্যাপটপের ক্ষেত্রে বিল্ড কোয়ালিটিও কিন্তু অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। দেখে নেবেন কিবোর্ড কতটা ফ্লেক্স করছে। কিবোর্ড বা ল্যাপটপে ডিসপ্লের অংশ যদি নড়বড়ে হয়, তা হলে ল্যাপটপ যখন তখন খারাপ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ভাল বিল্ড কোয়ালিটি, স্টার্ডিনেস-এই সমস্ত দেখে ল্যাপটপ পছন্দ করুন।
এই সাধারণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি দেখে নিতে পারেন ল্যাপটপের কিবোর্ডে ব্যাক লিট অপশন আছে কি না, যা অন্ধকারে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকটা সহায়ক। আপনার ল্যাপটপে ভেন্টিলেশন বা সাউন্ড সিস্টেম কতটা ভাল, দেখা উচিত সেটাও। আপনি যদি মাল্টিমিডিয়া এক্সপেরিয়েন্স-এর জন্য শুধুমাত্র ল্যাপটপ কিনতে চান, তবে অনেক oled ডিসপ্লে ল্যাপটপ এসেছে বাজারে। যেগুলোর দাম সাধারণ ল্যাপটপের থেকে কিছুটা বেশি। তবে তাতে মাল্টিমিডিয়া এক্সপেরিয়েন্স বা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা অনেকটাই ভাল। যাঁরা আর্টিস্টিক কাজ করেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের ডিসপ্লে সঠিক রং তৈরি করতে পারে।
সব শেষে অবশ্যই আপনার বাজেট এবং কোন সংস্থার ল্যাপটপ আপনি পছন্দ করবেন, এটা পুরোটাই আপনার উপরে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy