প্রতীকী মূর্তি
শারদোৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তবু কোথাও যেন মনখারাপ গোটা শহরের। এই পরিস্থিতিতেও আগমন ঘটছে দশভূজার। পঞ্জিকা অনুসারে, এ বছর দেবীর দোলায় আগমন ও হাতিতে গমন। কিন্তু জানেন কি এর অর্থ? কী ভাবেই বা তা নির্ধারণ হয়?
দুর্গার বিভিন্ন বাহনে আগমন নানা শুভ ও অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। পঞ্জিকা থেকেই জানা যায়, দেবীর আগমন কীসে হবে, কীসেই বা কৈলাসে ফিরবেন তিনি। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারণ করে সারা বছর কেমন কাটবে মর্ত্যলোকের।
শাস্ত্র মতে, সপ্তমীর দিন দেবীর আগমন হয় আর দশমীর দিন গমন। এই দুই দিন সপ্তাহের কোন বারে পড়ছে, তার উপরে নির্ভর করে দেবীর কোন বাহনে আগমন এবং কোন বাহনে গমন। সপ্তমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন হবে গজ অর্থাৎ হাতি; শনি বা মঙ্গলবার হলে বাহন ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়া; বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর বাহন দোলা অর্থাৎ পালকি; আর দশমী বুধবার হলে দেবীর বাহন হবে নৌকা। অপর দিকে, দশমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন গজ; শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবী বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে; বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর গমন হবে দোলা বা পালকিতে; আর দশমী বুধবার হলে দেবীর নৌকায় গমন।
এ বছরের ক্যালেন্ডার বলছে, ১০ই অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেবীর আগমন হচ্ছে। তাই এ বছর দেবীর আগমনী বাহন দোলা বা পালকি। দশমী ১৩ই অক্টোবর, রবিবার। অর্থাৎ এ বার দেবীর গমন হবে গজ বা হাতির পিঠে চড়ে।
শাস্ত্র মতে, দেবীর পালকিতে আগমন হলে সে বছর মর্ত্যে খরা, ভূমিকম্প, যুদ্ধ, মহামারীর মতো দুর্যোগ দেখা দেয়। আবার দেবী ফিরবেন গজে, অর্থাৎ হাতিতে। এতে মর্ত্যলোক সুখ, শান্তি সমৃদ্ধিতে ভরে যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy