প্রতীকী চিত্র
পুজোর মধ্যে বাইরের খাবার খেয়ে পেটের সমস্যা? সামনে আবার আসতে চলেছে আরেকটা বড় উৎসব। আর এই দুই বড় উৎসবের মধ্যে যে বিরতি পাওয়া গিয়েছে, তাতে পেটকে একটু বিরতি দিতে পারলে মন্দ হয় না। রেস্তরাঁর আমিষ পদগুলি খেতে খেতে যখন আমাদের একঘেঁয়ে লাগে, তখন খুব সহজেই অল্প উপকরণে বাড়িয়ে ফেলুন পাঁঠার হলুদ ঝোল। উৎসবের মরসুমে আমিষ রান্না দিয়েও পেটকে ঠান্ডা রাখার জন্য, এই রান্নার জুড়ি মেলা ভার। তা হলে দেখে নেওয়া যাক এই রান্নার উপকরণগুলি এবং প্রণালী পদ্ধতি।
পদ্ধতি:
৫০০ গ্রাম কচি পাঁঠার মাংস কাঁচা হলুদ বাটা, নুন, টক দই এবং সাদা তেল দিয়ে দু’ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন।
হলুদ গুঁড়োর পরিবর্তে এই রান্নায় কাঁচা হলুদ বাটা দেওয়া হচ্ছে। এতে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। হজম শক্তি বাড়ায় এবং রান্নায় একটি সুন্দর রং আনে।
এর পরে একটি গোটা পেঁয়াজ টুকরো টুকরো করে কেটে, তার সঙ্গে সামান্য আদা, কিছুটা কাঁচালঙ্কা এবং চিনি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
শীত আসার মরসুমে বাজারে নতুন আলু পাওয়া যায়। আর পাঁঠার মাংস আলু ছাড়া বাঙালি ভাবতেই পারে না। আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা নতুন আলু খোসা ছাড়িয়ে তেলে ভেজে তুলে নিন।
কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার মধ্যে জিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ আদা, কাঁচালঙ্কা এবং চিনির যে মিশ্রণ বানিয়েছেন তা ঢেলে দিন।
ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে, দই মাখানো মাংস তার মধ্যে ঢেলে দিন। গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। মাংস মজে গেলে, একটি প্রেসার কুকারে এই সমস্ত জিনিস ঢেলে দিন। মনে রাখতে হবে, এটি কিন্তু কচি পাঁঠা। তাই প্রেসার কুকারে সিটি বেশি দেওয়া যাবে না। দু’টো সিটি দিয়ে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখুন।
প্রেসার কুকারের ঢাকনা খুলে, ভেজে রাখা আলুগুলো তার মধ্যে দিয়ে দিন। আর সঙ্গে মেশান একটু ঘি আর দু-তিনটে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা। ব্যাস এ বার তৈরি কচি পাঁঠার হলুদ ঝোল। ছুটির দিনে সাদা ভাতের সঙ্গে এমন পদ ভালই লাগবে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy