মঞ্চে শিল্পী কুমার শানু
কাজের সূত্রে মুম্বইবাসী। দুর্গা পুজোয় অনুষ্ঠানের জন্য দেশেও থাকা হয় না অনেক সময়। প্রবাসে ‘বলো দুগ্গা মাই কি’ বলার সুযোগও নেই। স্বপ্ন ছিল নিজেই এক দিন দুর্গা পুজো করবেন। এ বছর সেই সাধ পূর্ণ হতে চলেছে কুমার শানুর। কেমন চলছে প্রস্তুতি?
গায়কের কথায়, ‘‘দারুণ! খুব আনন্দে কাটছে। অপেক্ষা করছি কবে পুজো আসবে। মুম্বইয়ে আসার পর থেকেই ইচ্ছে ছিল এখানে দুর্গা পুজো করব। আমার অনেক দিনের সেই স্বপ্ন এ বার পূরণ হবে।’’
ছোটবেলা কেটেছে কলকাতায়। সেখানকার পুজোর কথা কতটা মনে পড়ে?
শানু বলেন, ‘‘সারা বছর পুজোর জন্য ভাঁড়ে পয়সা জমাতাম। সেই পয়সা পুজোয় খরচ করতাম। সারা রাত বন্ধুদের সঙ্গে, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা, ফুচকা খাওয়া। কী যে ভাল ছিল দিনগুলো!’’
আশি-নব্বইয়ের দশকে বলিউডে প্রেমের গানে জোয়ার এনেছিলেন শানু। ‘আশিকি’র গান তখন বাস্তবের বহু প্রেম কাহিনির থিম সং। ‘কল্কা পাড়ের নীল শাড়িতে প্রথম দেখেছি’- পুজো মণ্ডপের এই গান এখনও প্রেমিকের মুখে ফেরে। এমন রোম্যান্টিক মানুষ নাকি পুজোয় কখনও প্রেমে পড়েননি! কেমন ছিল কেদারনাথ ভট্টাচার্য ওরফে কুমার শানুর পুজোর দিনগুলো?
হাসতে হাসতেই বললেন, ‘‘প্রেম তো হয়ইনি! লুকিয়ে দেখা, বা আলাপ করার ইচ্ছেও ছিল না। আমার কাছে পুজো মানে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো। সারা রাত ঘুরে বেড়ানো। লাইন দিয়ে, হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখা। বান্ধবী ছিল না। থাকলেও বাড়ি থেকে বেরনোর অনুমতি থাকত না। বাবা খুব রাগী ছিলেন। মাঝে মাঝেই পিঠে দুমদাম মার পড়ত। তবে পুজোর ক’টা দিন কোনও শাসন ছিল না। পরে তো মুম্বই চলে এলাম। তখন কলকাতার রাস্তায় পুজো মণ্ডপে আমার গান বাজত। নিজে শুনতে না পেলেও বন্ধুরা ফোন করে বলত। খুব ভাল লাগত।’’
এ বার মা দুর্গার কাছে কী বর চাইবেন?
“মা দুর্গার কাছে চাইব, আমি যেন আবার কুমার শানু হয়ে জন্মাতে পারি, গান শুনিয়ে আনন্দ দিতে পারি। আমার যেন অর্থের প্রতি কোনও লোভ না থাকে। ক্যানিং ও দিল্লির দ্বারকায় বাচ্চাদের জন্য অনাথ আশ্রম আছে। মা যেন আমাকে ওদের পাশে থেকে সাহায্য করার ক্ষমতা দেন।’’
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy