স্বস্তিকা দত্ত
পুজো নিয়ে এখনও আলাদা করে কিছু ভেবে উঠতে পারিনি। পুজোয় আলাদা করে এক্সাইটমেন্ট থাকে না। পুজোয় সেভাবে বেরোই না। দু’-তিনটে পুজো প্যান্ডেলের ইনভিটেশন থাকে। সেজন্য যেতে হয়। কিন্তু নট অ্যাজ আ গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স। বন্ধুবান্ধবের পাড়ার পুজো। ওদের আমন্ত্রণেই যাই। এছাড়া শো থাকে। পুজোর সময়েও কাজ করি। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী অব্দি আমি কাজ করি। তবে এবার ইচ্ছে আছে দশমীর পর একটা ছোট্ট ভ্যাকেশনে যাওয়ার। একেবারেই ছোট্ট। কারণ অনেকদিন হয়ে গেছে আমি বাইরে কোথাও যাইনি। কিন্তু কোথায় যাব এখনও পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি। ভাবছিলাম ডুয়ার্স যাব। কিন্তু কম সময়ের মধ্যে ওখানে যাওয়া সম্ভব নয়। কাছাকাছি কোথাও যেতে হবে। এমনিতে তো আমি ছুটি পেলেই শান্তিনিকেতন, বোলপুর পালিয়ে যাই। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
শপিং বলতে... সারা বছর এত জামাকাপড় কিনি, এত শপিং করি যে পুজোয় আলাদা করে কিছু কেনার দরকার হয় না। তবে এই বছরটা আমি এথনিকের ওপর কনসেনট্রেট করছি। বিশেষ করে শাড়ির ওপর কনসেনট্রেট করছি। কারণ এ বছর খাদিহ্যান্ডলুম আর লিনেন ইন ফ্যাশন। পুজোয় এমনি কোথাও বেরলে শাড়ি তো পরবই, শোগুলোতেও শাড়িই পরব। নিজের লুক মাঝে মাঝে তো চেঞ্জ করতে হয়। আর আমি নিজেকে ভীষণ প্যাম্পার করি, নিজেকে নিয়ে ভীষণ চর্চা করি। তো শাড়ির সঙ্গে হয়তো নরম্যাল হাত খোঁপা করলাম। আমি নরম্যালি উইদাউট মেকআপ-ই থাকি। একটু ময়েশ্চারাইজার আর বড় জোর একটু লিপ বাম। কোথাও বেরোলে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাই। আমি এমনিতে ভীষণ কুঁড়ে। অন্যকিছু আর করা হয় না।
গয়না বলতে আমি হোয়াইট গোল্ড প্রেফার করব। যদি খুব জাঙ্কি শাড়ি হয়, সাউথ সিল্ক বা অপেরা সিল্ক হয় তো তার সঙ্গে হোয়াইট গোল্ড। হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরলে কানে একটা অক্সিডাইজ বড় ঝুমকো পরে নিলাম, কিম্বা কানে কিছু না পরে গলায় একটা অক্সিডাইজের চোকার পরে নিলাম। নাকে একটা নোজ পিন। এখন ডুয়াল নোজ পিন বেরিয়েছে যেটা নোজ কার্টিলেজের মাঝখানে পরে। এরকম নোজ পিন ইন ফ্যাশন রাইট নাও। আমার গয়না একজন ডিজাইন করে। তাকে আমি অলরেডি বলেও দিয়েছি। এ বছর জিনস আর টপ একটু পাশে সরিয়ে শাড়ি আর পালাজো প্যান্টের সঙ্গে স্লিভলেস কুর্তি অথেন্টিক্যালি ইজ ইন ফ্যাশন। এগুলোই পরার ইচ্ছে আছে।
অন্য সাজে
গত বছর পুজোয় সপ্তমী থেকে দশমী অব্দি রোজ শো ছিল। বিকেল চারটেয় বেরতাম আর পরের দিন ভোরবেলায় ফিরতাম। নিজেকেই এত সময় দিতে হয়েছে যে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা হয়নি। যদিও আমার বন্ধুবান্ধব বলতে, আছে ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজন। তবে হাতে গোনা। আমার নতুন বাড়ি হয়েছে। কাউকে খাওয়ানো হয়নি। সবাই এখন মাথায় চড়ে বসেছে যে পুজোর সময় একদিন বাড়িতে আসবে। আমার জীবনে বিশেষ কেউ নেই। এই ক’জন বন্ধুই রয়েছে। পুজোর সময় ওদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক কী হয়।
মেয়েদের প্রেমিক থাক, হ্যাজব্যান্ড থাক, পুজোর সময় অন্যদের ওপর চোখ চলেই যায়। এটা আমি মানি। পুজোর সময় মেয়েদের চোখ ছেলেদের দিকে আর ছেলেদের চোখ মেয়েদের দিকে যাবেই। এরকম কোনও ব্যাপার নেই যে কমিটেড হলেই অন্যদের দিকে তাকানো যাবে না। আমি তো বাবা কমিটেড হলেও তাকাবো। আমার তো একটা বিশেষ স্টেটাস আছে।সবাই তো বলে সিঙ্গল, কমিটেড, ম্যারেড। আমি নিজের স্টেটাস বলি, ‘থিঙ্কিং টু বি’। অন্যরা ডিসাইড করুক, থিঙ্কিং টু বি হোয়াট? সে যা-ই হোক, পুজোর সময় সবার প্রাণ থেকে অন্তর থেকে আবেগ বেরিয়ে আসে,‘ঝাড়ি’ তো মারতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy