রামনবমীতে অশান্তির তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-সহ রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে বিভিন্ন অশান্তির ঘটনায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ-কে দিয়ে তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তিনি। গত ১০ এপ্রিল শুনানির দিন হাই কোর্টে এনআইএ জানিয়েছিল, তারা ওই অশান্তির ঘটনাগুলির তদন্ত করতে প্রস্তুত।
এর পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উস্কানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাই কোর্টের এ-ও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে, অশান্তি হয়েছে।
অশান্ত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধ করার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘ওই সব এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এটা কেন? সাধারণত বাইরে থেকে কোনও আক্রমণ হলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। একটি অশান্তির জেরে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় না। এই সব ঘটনা সাধারণ মানুষকে চিন্তিত করে।’’
শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘ছাদ থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ওই সময়ে এত পাথর কী ভাবে ছাদে এল? ঘটনার সময় ১০ মিনিটের মধ্যে তো এত পাথর ছাদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ জানাচ্ছে, অশান্তির পর ঘটনাস্থল থেকে অ্যাসিডের বোতল, কাচের বোতল, বাঁশ, ইট, পাথর পাওয়া গিয়েছে। তাদের রিপোর্ট বলছে মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কী এই মারাত্মক অস্ত্র?’’ সেই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার ভার এ বার এনআইএ-কে দিল হাই কোর্ট।