তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত আমেরিকা। ছবি: সংগৃহীত।
নজিরবিহীন তুষারঝ়ড়ে নাজেহাল আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চল। একে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে তুষারপাত। সব মিলিয়ে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমেরিকার নানা প্রান্তে সব মিলিয়ে ২১০০-রও বেশি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বহু স্কুল ও কলেজ।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে খবর, টেক্সাস, লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা, জর্জিয়া, সাউথ ক্যারোলিনা এবং ফ্লোরিডা স্টেটে প্রবল তুষারপাত হচ্ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধু বরফ আর বরফ। পরিস্থিতি এমনই যে, কোনও কোনও জায়গায় ১০ ইঞ্চি পুরু বরফের স্তর জমে গিয়েছে। বিমান পরিষেবার পাশাপাশি ব্যাহত হয়েছে সড়কপথে যাতায়াত ব্যবস্থাও।
প্রবল ঠান্ডায় এবং দুর্যোগে টেক্সাস, জর্জিয়া এবং মিলওয়াকিতে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি, বিগত এক দশকের মধ্যে প্রকৃতির এমন ভয়াবহ রূপ দেখেনি আমেরিকাবাসী। নিউ অরলিন্স এবং লুইসিয়ানায় ১৯৬৩ সালের পর থেকে এত তুষারপাত হয়নি। লুই আর্মস্ট্রং নিউ অরলিন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বহু উড়ান। সমস্ত স্কুল-কলেজ এবং সরকারি দফতরও বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার লুইসিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রি বলেছেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে নেওয়া সতর্কতাগুলিই প্রমাণ করে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’’ আগামী এক সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এই কয়েক দিন প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে রাস্তায় বেরোতে বারণ করা হয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগেই ‘স্টর্ম ব্লেয়ার’ নামের এক তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পূর্ব ও মধ্য আমেরিকা। ঝড়ের বলি হয়েছিলেন পাঁচ জন। জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছিল আমেরিকার সাতটি প্রদেশ মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, কানসাস, মিসৌরি, কেনটাকি এবং আরকানসাসে।