আবার মন্তব্য-বিতর্কে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ফাইল ছবি।
আবার মন্তব্য-বিতর্কে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম, ‘বিচারপতিদের ভারত বিরোধিতা’র পর এ বার সমলিঙ্গে বিয়ের অধিকার সংক্রান্ত মামলা নিয়ে। তাঁর দাবি, সমলিঙ্গে বিবাহের অধিকারের মতো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়ে আদালত নয়, দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য রিজিজু বুধবার একটি আলোচনাসভায় বলেন, ‘‘বিবাহের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত এই জাতীয় সমস্যাগুলি নিষ্পত্তি করার স্থান নয়।’’ এর পরেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘দেশের জনগণের মনোভাব প্রতিফলিত হয় নির্বাচিত আইনসভাতেই।’’
ঘটনাচক্রে বুধবারই এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চকে জানিয়েছেন, সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার মতো ‘অতি জটিল বিষয়’ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সংসদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। এই পরিস্থিতিতে ‘বিচারাধীন’ বিষয় নিয়ে রিজিজু কেন বাইরে মন্তব্য করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি একটি আলোচনাসভায় রিজিজু বলেছিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কয়েক জন ‘ভারতবিরোধী গোষ্ঠীর’ সদস্য! ওই গোষ্ঠীর কাজ বিচারবিভাগকে সরকারের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা!’’ ওই মন্তব্যের জেরে সংসদে সাফাই দিতে হয়েছিল তাঁকে। তার আগে বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছিলেন রিজিজু। সে জন্য তাঁকে শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনাও শুনতে হয়েছিল।