Birbhum

নানুরে পিটিয়ে খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার ৩, ধৃতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দল ছেড়ে দেওয়া বশিরকে আবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য বার বার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তার পরেই ওই পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫৪
Share:

ধৃত তিন জনই বশিরের প্রতিবেশী বলে খবর। — নিজস্ব চিত্র।

নানুরের সাঁতরা গ্রামে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতদের তিন জনই তৃণমূলকর্মী। তাঁদের নাম বাবর আলি শেখ, শেখ চাঁদ, শেখ মহিউদ্দিন। তিন জনেরই বাড়ি সাঁতরা গ্রামে। এবং খুন হওয়া যুবক বশির শেখের প্রতিবেশী তাঁরা।

Advertisement

গত শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ বশিরকে শাবল, চেন দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল ছাড়ার পর বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো হয় ওই যুবককে। তাতেও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ায় পিটিয়ে খুন! ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। মৃতের দাদা নাসিম শেখ নানুর থানায় মোট ১৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ পাওয়ার দু’দিনের মধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার অভিযুক্তদের বোলপুর আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ধৃতদের ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে আদালতে।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বশির আগে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বছর দুই আগে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসেন। আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তিনি যুক্ত হননি। কিন্তু বার বার তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। পরিবারের আরও অভিযোগ, বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়েছে বশিরের নামে। কিন্তু তাতেও তৃণমূলে ফেরেননি বশির।

Advertisement

শুক্রবার গ্রামের দুই তৃণমূল নেতা রাজা শেখ ও খেলোন শেখ— এই দু’জন বাড়ি থেকে বশিরকে ডেকে নিয়ে যান বলে পরিবারের দাবি। এর পর ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে বশিরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে বশির মারা যান। পরিবারের তরফে বশিরকে পিটিয়ে খুনের অভিয়োগ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement