তপন কান্দু খুনে অভিযুক্ত শার্পশুটারের ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল পুরুলিয়া জেলা আদালত। শনিবার তাঁকে ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার তাঁকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হয়। সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় ওঝা বলেন, ‘‘ধৃত জাবির আনসারীর কাছ থেকে তপন কান্দু খুনে ব্যবহার হওয়া বাইক এবং আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাবিরকে জেরা করে আরও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।’’
তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জাবিরের বাড়ি বোকারো জেলার ব্যাঙ্ক নারায়ণপুর থানার কাচো গ্রামে। খুনি ধরা পড়ার পর নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘‘শুটার ধরা পড়েছে, ভাল খবর। আমি এটাই চাই। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা সকলেই ধরা পড়ুক। তাঁদের সবার যেন ফাঁসির সাজা হয়।’’
গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরে খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে মোটর বাইকে করে পালায় আততায়ীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার পরবর্তীকালে যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নরেন কান্দু, দীপক কান্দু, কলেবর সিং, আশিক খান ও সত্যবান প্রামাণিককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু এত দিন পর্যন্ত অধরাই ছিলেন শুটার।