Guillain-Barré syndrome

গিলেন-বারি সিনড্রোমে মহারাষ্ট্রে মৃত আরও দু’জন, বিরল স্নায়ু রোগের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি পুণেতে

জিবিএস সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রের পুণেতেই। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন আক্রান্তের হদিস মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩০
Share:
স্নায়ুর এই সমস্যায় এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন।

স্নায়ুর এই সমস্যায় এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গিলেন-বারি সিনড্রোমে (জিবিএস) শুক্রবার আরও দু’জনের মৃত্যু হল মহারাষ্ট্রে। এক জন পুণের বাসিন্দা। দ্বিতীয় জন পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের। স্নায়ুর এই সমস্যায় এখন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে ২৬ বছরের এক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। জিবিএস সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রের পুণেতেই। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন আক্রান্তের হদিস মিলেছে। গত কয়েক দিন ধরেই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২৪ জানুয়ারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর একটি র‌্যাপিড রেসপন্স টিম (আরআরটি)-ও গঠন করেছে। ওই দলের সদস্যেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সতর্ক করেছেন। পুণে পুরসভার অধীনে প্রায় ১,৯৪৩টি বাড়িতে ঘুরে নজরদারি চালিয়েছেন এই সদস্যেরা। চিঞ্চওয়ার পুরসভার অধীনে ১,৭৫০টি বাড়িতে নজরদারি চালানো হয়েছে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুদের পাশাপাশি কমবয়সিরাও আক্রান্ত হতে পারেন জিবিএস ভাইরাসে। তবে তাঁরা মনে করছেন, এই সংক্রমণ অতিমারির আকার নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। কী হয় এই রোগে? চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জিবিএস একটি বিরল ‘অটোইমিউন ডিসঅর্ডার’। এই রোগে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেরই স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। পুণে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গিলেন-বারি সিন্ড্রোমে আক্রান্তদের ডায়েরিয়া, পেটব্যথা, জ্বর, বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই কারও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, এই সংক্রমণের ফলে পেশী দুর্বল হয়ে যায়। হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। কারও কারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রোগীর শ্বাসযন্ত্রে বাসা বাঁধে এই ভাইরাস। তা থেকে নাক, গলা, মুখমণ্ডলে সংক্রমণ ঘটে। কারও ‘ফেশিয়াল প্যারালিসিস’ হয়, অনেকের আবার ‘রেসপিরেটরি প্যারালিসিস’ও দেখা দেয়। রোগীকে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত দিতে হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement