১০০ দিন ন’ঘণ্টা করে গভীর ভাবে ঘুমিয়েছেন শ্রীপর্ণা। নিজস্ব চিত্র।
ঘুমোতে তিনি প্রচণ্ড ভালবাসেন। ছোটবেলা বাড়িতে বকুনিও জুটেছে বিস্তর। এমনকি, চাকরির ইন্টারভিউতে গিয়েও ঘুমিয়েছেন তিনি। সেই ঘুমিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেললেন শ্রীরামপুরের ত্রিপর্ণা। জিতে নিলেন ছ’লাখ টাকা পুরস্কারও।
সম্প্রতি একটি ম্যাট্রেস কোম্পানি ঘুমোনোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কে কত ক্ষণ টানা ঘুমোতে পারেন, সেটাই ছিল প্রতিযোগিতা। সেখানে নাম লিখিয়েছিলেন বহুজাতিক সংস্থার কর্মী ত্রিপর্ণা। এক টানা ১০০ দিন ন’ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
ত্রিপর্ণা জানান, ছোট থেকে ঘুমোতে বড় ভালোবাসেন। এখন বহুজাতিক সংস্থার কর্মী। সংস্থার মূল অফিস আমেরিকায়। তাই শ্রীরামপুরের বাড়ি থেকে কাজ করতে হলে তাঁকে রাত জাগতে হয়। ঘুমাতে হয় দিনের বেলা। তবে শৈশব থেকে ঘুম নিয়ে তাঁর নানা ঘটনা রয়েছে। কখনও বোর্ডের পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘুমিয়ে পড়েছেন। কখনও আবার ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে সেখানেই ঘুমিয়েছেন। আসলে ঘুম পেলেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তাই তাঁর কাছে এমন একটা প্রতিযোগিতা বড় সুযোগ।
ত্রিপর্ণা এই ঘুমের প্রতিযোগিতার কথা জানতে পারেন নেটমাধ্যমে। সারা দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ প্রতিযোগী এখানে অংশ নিয়েছিলেন। তবে বাকিদের পিছনে ফেলে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’ নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই।
প্রতিযোগীতার আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, ১০০ দিনের চ্যালেঞ্জে প্রত্যেক প্রতিযোগীদের দিনে ন’ঘণ্টা করে গভীর ভাবে ঘুমোতে বলা হয়েছিল। প্রত্যেক প্রতিযোগীর ঘুমের স্কোরে দেখা যায় সব থেকে বেশি স্কোর করেছেন ত্রিপর্ণা। তাঁর ঘুমের স্কোর ছিল ১০০-র মধ্যে ৯৫। ফাইনালের সময় ঘুম পর্যবেক্ষণে সংস্থার তরফ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় ত্রিপর্ণার বাড়িতে। নানা বাছবিচার করে তাঁরা বেছে নেন ঘুমে প্রথম স্থানাধিকারীকে।