—প্রতীকী চিত্র।
পাম্পের জলে মুখ ধুতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। তিনি ওই এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যুর পর এলাকায় শাসক তৃণমূলের অব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, উপযুক্ত পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না নেওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের জয়কৃষ্ণপুরের মাজিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মৃত্যন মাজি (৪০)। তিনি পেশায় জনমজুর ছিলেন। মাজিগ্রাম অঞ্চলের ১৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির সভাপতিও ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই পাম্পের জলে মুখ ধুতে গিয়েছিলেন মৃত্যন। বসে বসে মুখ ধুচ্ছিলেন তিনি। আর উঠতেই পারেননি। পাড়ার কয়েক জন বিষয়টি খেয়াল করে দ্রুত পাম্পের সুইচ বন্ধ করেন। তত ক্ষণে যুবক অচেতন হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পাড়ার অনেকেই ওই পাম্পের জল ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় পানীয় জল প্রকল্পের কাজ চলছে। সেই সূত্রেই পাম্প বসানো হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, হুকিং করে পাম্প চালানো হয়, যা বিপজ্জনক। মঙ্গলকোট বিধানসভার বিজেপির যুবমোর্চার আহ্বায়ক সৌমেন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একেই পঞ্চায়েত থেকে রাস্তার ধারে ধারে অপরিকল্পিত ভাবে পাম্পগুলি বসানো হয়েছে। তার উপর পাম্প চালানো হচ্ছে হুকিং করে। পঞ্চায়েত থেকে নিরাপদ ভাবে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ না নেওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা।’’
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। মাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাজল মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমি শুনেছি, ওই ব্যক্তি বাড়িতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন।’’ তবে হুকিং করে পাম্প চালানোর কথা অস্বীকার করেননি তিনিও। বলেন, ‘‘পাম্পে যেখানে বিদ্যুৎসংযোগ রয়েছে, সেখানে তারের কভার দেওয়া রয়েছে। বিপদ ঘটার তেমন সম্ভাবনা নেই।’’
বিদ্যুৎ পর্ষদের বর্ধমান ডিভিশনের রিজিওনাল ম্যানেজার গৌতম দত্ত ঘটনার পর বলেন, ‘‘ওই পাম্পে বিদ্যুৎ পর্ষদের কোনও বৈধ সংযোগ ছিল না। পাম্পের স্টার্টারে শর্ট সার্কিট হওয়াতেই তড়িদাহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।’’ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।