রান্নার ভিডিয়ো শুট নিজেই করতে পারবেন। ছবি: সংগৃহীত।
রান্না করতে ভালবাসেন। বাড়ির লোকের উৎসাহে নানা ধরনের পদ রেঁধে, সাজিয়ে তার ছবি পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে। কেউ জানতে চাইলে পাকপ্রণালীও লিখে দেন। তবে ইনস্টাগ্রামের ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েটার’দের মতো ভিডিয়ো করতে পারেন না।
অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের পেশাদার ভিডিয়ো বানাতে দক্ষ ভিডিয়োগ্রাফার লাগে। সে কথা একেবারে ভ্রান্তও নয়। তবে সে সব তো বেশ খরচসাপেক্ষ ব্যাপার! খরচ করার সাধ্য না থাকলে কি খাবারের লোভনীয় ভিডিয়ো তোলা যাবে না? অভিজ্ঞেরা বলছেন, কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে নিজেই নিজের রান্নার ভিডিয়ো বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
ভিডিয়ো দেখিয়ে দর্শকের জিভে জল আনতে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) ব্যাকড্রপ সেট করুন:
হেঁশেলের দেওয়ালে তেল, ঝুল, কালি— যা-ই থাক, ক্যামেরায় যেন তা ধরা না পড়ে। তাকের উপর রাখা মশলার কৌটোগুলো এমন ভাবে রাখুন, যাতে দেখতে ভাল লাগে। কোন দেওয়ালে কী রাখলে ক্যামেরায় তা সুন্দর দেখাবে, তা নিয়ে আগে থেকে একটু পড়াশোনা করে নিতে পারলে ভাল হয়।
২) কোন অ্যাঙ্গল থেকে শট নেবেন?
ক্যামেরায় যিনি রাঁধেন, নেপথ্যে তিনিই গোটা ভিডিয়ো শুট করেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। রান্না করতে করতে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, তবে আগে থেকে পরিকল্পনা করা থাকলে সমস্যা হবে না। কোন অ্যাঙ্গল থেকে, কত দূরে ক্যামেরা বা মোবাইল রাখলে দেখতে ভাল লাগবে, তা আগে থেকে ভেবে রাখতে হবে।
৩) আলোর ব্যবস্থা:
দিনের আলোয় কাজ হয়ে গেলে সমস্যা নেই। কিন্তু শুটিং যদি রাতের বেলা হয় কিংবা হেঁশেলে সর্বত্র যদি পর্যাপ্ত আলো এসে না পৌঁছয়, সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ছবি এবং ভিডিয়োর ক্ষেত্রে একই রকম আলো প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন অনুযায়ী তীব্রতা কম-বেশি করা যায়, এমন আলো আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। চাইলে তেমন একটি আলো কিনেও ফেলতে পারেন।
৪) রান্নার সর়ঞ্জাম:
শুটিংয়ের সময়ে কালিঝুলি মাখা পুরনো হাঁড়িকুড়ি ব্যবহার না করাই ভাল। রান্না তো ভাল হওয়া চাই-ই। তবে দর্শক-অনুরাগীদের চোখ, মন, জিভ— নিয়ন্ত্রণ করতে সাজ-সরঞ্জামে চাকচিক্য রাখাও জরুরি।
৫) এডিটিং:
ভিডিয়ো পোস্ট করার তাড়ায় এডিটিং যেন ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ গোছের না হয়। নিজের ছবি পোস্ট করার সময়ে যেমন নানা ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করেন, তেমনই ভিডিয়ো পোস্ট করার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। আজকাল নানা ধরনের এডিটিং অ্যাপ পাওয়া যায়। সেগুলির সাহায্যে শখের রাঁধুনির পাশাপাশি একেবারে পেশাদার ভিডিয়োগ্রাফারও হয়ে উঠতে পারেন।