খিদিরপুর থেকে উদ্ধার বিদেশি মদ। — নিজস্ব চিত্র।
ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে যত বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়েছে, তার মূল্য ১০০ কোটির গণ্ডিও ছাড়িয়ে গেল। গত তিন মাসে বাংলায় ১০৮ কোটি টাকার মদ বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তেমনটাই জানা গিয়েছে তাদের পরিসংখ্যান থেকে। উদ্ধার করা মদের একটা বড় অংশ এসেছে মঙ্গলবার খিদিরপুর এলাকা থেকে।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে বুধবার, ২৯ মে পর্যন্ত বাংলার নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া বেআইনি মদের মূল্য ১০৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৪৭.১৯ লক্ষ টাকার মাদক দ্রব্যও রয়েছে। খিদিরপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে ২৪ লক্ষ টাকার মদ উদ্ধার করেছে কমিশন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওয়াটগঞ্জ এবং নিউ মার্কেট-পার্কস্ট্রিট রেঞ্জের শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা খিদিরপুরে যৌথ অভিযান চালান মঙ্গলবার রাতে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খিদিরপুরের অরফানগঞ্জ মার্কেট এলাকায় গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে একটি তালাবন্ধ ঘরের সন্ধান নিয়েই গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘরটির তালা ভাঙা হয়। ২৫৬.১৭৫ লিটার বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয় ওই ঘর থেকে। ওই বিদেশি মদের আনুমানিক বাজারমূল্য ২৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৭৫ টাকা। জায়গাটি ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার অন্তর্গত।
কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ মদ এল, কারা তা তালাবন্ধ ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন, তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। দক্ষিণ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার-সহ ন’টি কেন্দ্রে আগামী শনিবার ভোটগ্রহণ। ভোটের দু’তিন আগে কারা বিদেশি মদ সংগ্রহ করে রেখেছিলেন, কী ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য, পুলিশ তদন্ত করছে। বন্ধ ঘরের মালিকের সন্ধান চলছে।
কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত মদ এবং মাদক দ্রব্য ছাড়াও রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা। উদ্ধার করা টাকার পরিমাণ ৩৪ লক্ষ ২৩ হাজার। শেষ দফার ভোটের আগে নয় কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চলছে তল্লাশি অভিযান।