রোদে ঠাকুর দেখতে গিয়ে মুখে জ্বালা ধরছে? সঙ্গে রাখুন মুখের মিস্ট। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসবের মরসুমে যতই কড়া রোদ থাকুক না কেন, ঠাকুর দেখতে যেতেই হবে। এই ক’টি দিনের জন্যেই তো সারা বছরের অপেক্ষা। কিন্তু এই যে এত সেজেগুজে বেরালেন, গরমে ঘেমে নেয়ে সেই সাজই যদি গলে যায়, তবে কি আর ভাল লাগে? তার উপর শরতেও রোদের রক্তচক্ষুতে ত্বকে জ্বালা ধরছে। এই সমস্যার সমাধানে ব্যাগে রাখতে পারেন ছোট্ট একটি জিনিস। ফেস মিস্ট। দোকানে গিয়ে পুজোর মরসুমে বাড়তি খরচ করতে হবে না। ঘরেই সেটি বানিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিলে হবে। গরমে নাজেহাল হয়ে মুখে-গলায় স্প্রে করে নিলে ত্বক ভাল থাকবে, মিলবে আরামও।
অ্যালো ভেরা এবং শসার মিস্ট
১টি শসার রস
২ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল
আধ কাপ পরিস্রুত পানীয় জল
পদ্ধতি-সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।
যখন দরকার হবে, বের করে মুখে, গলায় স্প্রে করে নিলেই ত্বকের প্রদাহ কমবে, ঘামের ফলে হওয়া সংক্রমণ থেকে রেহাই মিলবে। রোদে বেরিয়ে ঠান্ডা মিশ্রণটি মাঝেমধ্যে স্প্রে করে নিলে বেশ আরামও হবে।
উপকারিতা- শসা এবং অ্যালো ভেরা ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা জল ত্বককে আর্দ্রতা জোগায়।
গোলাপ জল এবং গ্রিন টি মিস্ট
আধ কাপ গোলাপ জল
আধ কাপ ঠান্ডা গ্রিন টি
কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন
পদ্ধতি-সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।
উপকারিতা- গোলাপ জল ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে, আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি-তে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। রোদে ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে গ্রিন টি।
ল্যাভেন্ডার এবং ক্যামোমাইল মিস্ট
আধ কাপ ঠান্ডা ক্যামোমাইল চা
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল ৫ ফোঁটা
দু’টি উপকরণ মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। দরকার মতো স্প্রে করে নিলেই হবে।
উপকারিতা- রোদে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালা কমাতে সাহায্য করে ক্যামোমাইল। ল্যাভেন্ডার তরতাজা ভাব আনে।