পুজোয় কেমন করে চুল বাঁধবেন? ছবি: সংগৃহীত।
সাজগোজ মানেই রূপটান নিয়ে হাজারো পরীক্ষা নিরীক্ষা। মুখের গঠন, ত্বকের ধরন, চোখের আকার, ঠোঁট সব দেখে শুনে তবেই রূপটান করতে বসেন। অথচ চুলের সাজের বেলায় তেমন খুব একটা মাথা ঘামান না কেউই। হয় খোলা চুল, না হয় খোঁপা, কিংবা পনিটেল। সঙ্গে বড়জোর ফুলের মালা বা হেয়ারব্যান্ড। মুখের সঙ্গে তা আদৌ মানানসই হচ্ছে কি না, ভেবে দেখেছেন কখনও? চুল বাঁধার ঝক্কি যাঁরা নিতে চান না, তাঁরা চুল খোলা রাখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। অথচ সব সময়ে সব জায়গায় চুল খোলা রাখাও যায় না। তখনই চিন্তা শুরু হয়, কী ভাবে চুল বাঁধলে ভাল লাগবে। চুলের ধরন অনুযায়ী কেমন হেয়ারস্টাইল করলে ভাল লাগবে জেনে নিন।
কেমন করে চুল বাঁধবেন?
চুলের দৈর্ঘ্য কেবল নয়, চুলের ঘনত্ব কেমন তা-ও মাথায় রাখতে হবে। কপালের গঠনের দিকে খেয়াল রাখাও জরুরি। সব দিক ভেবেচিন্তে তবেই হেয়ারস্টাইল বেছে নিন।
১) চুল লম্বা বা মাঝারি এবং ঘন হলে তা বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন। স্লিক পনিটেল, সাইড বান, বিভিন্ন রকম বিনুনি ভাল লাগবে। চুল খুলে রেখে ব্যাকব্রাশও করতে পারেন।
২) চুল ছোট ও ঘন হলে ওয়াটারফল ব্রেড, সামুরাই বান বা হাফ পনিটেল করতে পারেন। চুলে কোনও অ্যাকসেসরিজ় ব্যবহার করার দরকার নেই।
৩) চুল ছোট হলে এবং ঘনত্ব কম থাকলে পাফ করে নিয়ে ফ্রেঞ্চ বান, সাইড টুইস্ট দেখতে ভাল লাগবে। বিভিন্ন ধরনের হেয়ার অ্যাকসেসরিজ়ও ব্যবহার করতে পারেন। তাতে পাতলা চুল অনেকটাই আড়াল করা যাবে।
৪) চুলের দৈর্ঘ্য বেশি, অথচ পাতলা হয়ে গিয়েছে, তা হলে চুল খুলে রাখতে পারেন। ফিশটেল এমন চুলে ভাল লাগবে। বান বা পনিটেল পাতলা চুলে না করাই ভাল।
৫) কোঁকড়ানো চুল নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে যায়, জটও পড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে নানা ধরনের বান দেখতে ভাল লাগে। তবে চাইলে ফ্রেঞ্চ ব্রেড বা সামুরাই বানও করে দেখতে পারেন। মন্দ লাগবে না।
৬) খুব তাড়াহুড়ো থাকলে, সিঁথির দু’পাশ থেকে চুল ভাগ করে নিয়ে পিছনে বেঁধে নিন। বাদ বাকি চুল খোলা রাখুন। সব রকম পোশাকের সঙ্গে চুলের এই কায়দা মানিয়ে যাবে।