তৈলাক্ত ত্বকও শীতে শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
তৈলাক্ত ত্বক। তাই বাতাসে আর্দ্রতার অভাব হলেও চট করে টের পাওয়া যায় না। মুখ ধোয়ার পরে বা অনেক সময়ে স্নান করে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতেও ভুলে যান। তাতে যে খুব একটা অসুবিধা হয়, এমনও নয়। কিন্তু চর্মরোগের চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণ কিছু ভুলের জন্য তৈলাক্ত ত্বকও খসখসে হয়ে উঠতে পারে। বেড়ে যেতে পারে স্পর্শকাতরতা। কোন কোন ভুলে তৈলাক্ত ত্বকে সমস্যা হতে পারে, জেনে নিন।
১) ময়েশ্চারাইজ়ার না মাখা:
উত্তুরে বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা চুরি করে নেয়। খসখসে শুষ্ক ত্বকে টান ধরে, তাই ময়েশ্চারাইজ়ারের প্রয়োজন হয়। তবে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা হয়তো ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার প্রয়োজন বোধ করেন না। আর ভুলটা হয় সেখানেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, তৈলাক্ত ত্বকেও আর্দ্রতার অভাব ঘটে। স্বাভাবিক ভাবে সেই সমতা রক্ষা করতে তৈলগ্রন্থি থেকে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া ময়েশ্চারাইজ়িং বিষয়টা তো শুধু মুখের জন্য নয়! হাত-পা-গলা, এমনকি সারা শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য স্নান করার পরেই ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা প্রয়োজন।
২) রাসায়নিক দেওয়া ক্লিনজ়ার ব্যবহার করা:
বাজারজাত বহু ক্লিনজ়ারের মধ্যেই ক্ষতিকর রাসায়নিক, অ্যালকোহল, সালফেট এবং সুগন্ধি দেওয়া থাকে। এই ধরনের উপাদান ত্বকের জন্য ভাল নয়। ত্বকের পিএইচের সমতা নষ্ট হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ‘ডবল ক্লিনজ়িং’ পদ্ধতিতে ত্বক পরিষ্কার করলে এই সমস্যার সুরাহা হতে পারে।
৩) রাসায়নিক দেওয়া স্ক্রাব ব্যবহার করা:
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। তবে তা রাসায়নিক উপাদান বর্জিত হলেই ভাল। টক দই, ওটমিল, বেসন কিংবা চালের গুঁড়োর মতো উপাদান ত্বকের কোনও ক্ষতি না করেই মৃতকোষ সরিয়ে দিতে পারে। তবে রোজ নয়, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে সপ্তাহে দু’বার এক্সফোলিয়েট বা স্ক্রাব করাই যথেষ্ট। স্ক্রাবিং করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা প্রয়োজন।