ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঝরবে ওজন? ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম ভাঙতেই দেখলেন ৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে! স্বপ্ন না সত্যি?
শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের কতটা প্রয়োজন রয়েছে, এ কথা সকলেই জানেন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বিপাকহারেও নানা রকম পরিবর্তন আসে। তবে স্বাভাবিক ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যও ঘুম যে সমান গুরুত্বপূর্ণ, সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় সে তথ্য উঠে এসেছে।
সত্যিই কি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওজন ঝরানো যায়?
ভাল করে ঘুমোলেও রাতারাতি ওজন ঝরে না। তবে সুস্থ থাকতে এবং স্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন আছে। ঘুমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ এবং বিপাকহারের যোগ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা রাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন, তাঁদের ওজন এবং ‘বডিমাস ইনডেক্স’ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
গবেষকেরা বলছেন, ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তা দেহের নিজস্ব যে ঘড়ি মেনে চলে। শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের কাজ, এমনকি গ্লুকোজ় এবং ফ্যাট মেটাবলিজ়মের উপর তার প্রভাব পড়ে।
সূর্যোদয় বা দিন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিপাকহারের গতি বেড়ে যায়। দেহের তাপমাত্রাও এই সময়ে খানিকটা বাড়তির দিকে থাকে। আবার, রাতে ঠিক উল্টো। সারা দিন কাজের পর সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বিপাকহারও কমতে থাকে। দেহের তাপমাত্রাও দিনের তুলনায় হ্রাস পায়। শরীরের নিজস্ব ছন্দ বা ঘড়ি মেনে ধীরে ধীরে দেহ ‘স্লিপিং মোড’-এ চলে যায়।
রাতে দীর্ঘ ক্ষণ জেগে থাকলে খিদে পাওয়া স্বাভাবিক। অনেকে চোখের খিদেয় রাত্রিবেলা মুখরোচক বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন। খাবার খাচ্ছেন বলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিপাকহার যে বেড়ে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। এই সময়ে দেহের কোষগুলি ইনসুলিন প্রতিরোধী হিসাবে কাজ করে। ফলে রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রাতেও হেরফের হয়। শরীরে থাকা বাড়তি ক্যালোরিই পরবর্তী কালে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়।
ওজন ঝরাতে ঘুম কী ভাবে সাহায্য করে?
পর্যাপ্ত ঘুম হলে শরীরের সব হরমোনই স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারে। খিদে পাওয়া বা না পাওয়ার অনেকটাই এই হরমোনের উপর নির্ভর করে। আবার ভাল ঘুম হলে শরীরে এনার্জিও থাকে ভরপুর মাত্রায়। শরীরচর্চা করতেও সমস্যা হয় না। ক্যালোরি পোড়ানো সহজ হয়।