মুখে নুন কী ভাবে মাখতে হয়? ছবি: সংগৃহীত।
রাতে খাওয়াদাওয়ার পর ঈষদুষ্ণ জলে খানিকটা নুন মিশিয়ে কুলকুচি করে নেন। ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হলেও নুন মেশানো গরম জলে গার্গল করেন অনেকে। কিন্তু ত্বকের যত্নে নুন-জলে মুখ ধোয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। তবে রূপচর্চার বিষয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন টোটকা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেন যাঁরা, তাঁরা বলছেন, ইদানীং ব্রণের সমস্যা দূর করতে, তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাকহেড্স এবং হোয়াইট হেড্সের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই নুন-জল দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়াও সৈন্ধব নুনে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ থাকে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। শোনা যায়, হাজার হাজার বছর আগে মুখে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ রুখতে, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে প্রাচীন মিশরেও নাকি ব্যবহার করা হত এই মিশ্রণ। অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এখনও স্নানের জলে অনেকেই এই নুন মিশিয়ে থাকেন। তবে শুষ্ক বা স্পর্শকাতর ত্বকের পক্ষে নুন কিন্তু ক্ষতিকর। তাই ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
নুন-জল বা ‘স্যালাইন ওয়াটার’ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের কোন উপকার হয়?
১) সেবাম নিয়ন্ত্রণ করে
তৈলাক্ত ত্বকে ধুলো-ময়লা, মৃত কোষ জমে থাকার সম্ভাবনা বেশি। সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ বেশি হলে ব্রণের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত তেল সরিয়ে ত্বকের নিজস্ব তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে নুন জলে মুখ ধোয়া যেতেই পারে।
২) জেল্লা ধরে রাখে
ত্বকের উপর থেকে মৃত কোষের পরত সরে গেলেই আসল জেল্লা বেরিয়ে আসে। সকলে কিন্তু মুখে এক্সফোলিয়েট করতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে এই স্যালাইন ওয়াটার কিন্তু ভাল একটি বিকল্প হতে পারে।
৩) ব্রণ দূর করে
মুখের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ব্রণের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলি থেকে ধুলো-ময়লা, তেল সরিয়ে মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মুখ ধোয়ার জন্য কী ভাবে তৈরি করবেন নুন-জল?
১) একটি পাত্রে ২ কাপ জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন ১ চা চামচ সৈন্ধব নুন।
২) এ বার এই মিশ্রণ খানিকটা ঠান্ডা হতে দিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৩) তার পর সেই জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই জল যেন চোখে না ঢুকে যায়, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।