Ayodhya Ram Mandir

দৌড়ে হেরে গেল রামলালার যে বিগ্রহ, তা দেখতে কেমন? কোথায়ই বা স্থান পাবে?

শ্বেতপাথরের তৈরি রামলালার সেই বিগ্রহের ঠোঁটে গোলাপী আভা। ফুটে উঠেছে শিশুসুলভ হাসি। গায়ে গয়না এবং ধুতিও পাথরে খোদাই করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০১
Share:

শ্বেতপাথরের তৈরি মূর্তিটি তৈরি করেছেন রাজস্থানের এক শিল্পী। ছবি: এক্স।

অযোধ্যার মন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে মাইসুরুর শিল্পী অরুণ যোগীরাজের তৈরি বিগ্রহের। দৌড়ে ছিল আর দুই শিল্পীর বিগ্রহ। সেই দুই বিগ্রহ গর্ভগৃহে না হলেও নতুন মন্দিরেই রাখা হবে। তার মধ্যে একটি বিগ্রহের ছবি ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র পরের দিন প্রকাশ্যে এল। শ্বেতপাথরের তৈরি সেই বিগ্রহ তৈরি করেছেন রাজস্থানের এক শিল্পী।

Advertisement

শ্বেতপাথরের তৈরি রামলালার সেই বিগ্রহের ঠোঁটে গোলাপী আভা। ফুটে উঠেছে শিশুসুলভ হাসি। গায়ে গয়না এবং ধুতিও পাথরে খোদাই করা। পিছনে রয়েছে আর্চের মতো কাঠামো। তাতে খোদাই করা রয়েছে বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতার। বিগ্রহের এক হাতে সোনার তির, অন্য হাতে সোনার ধনুক। বিগ্রহটি তৈরি করেছেন সত্যনারায়ণ পাণ্ডে। দৌড়ে ছিল আরও একটি বিগ্রহ, যা তৈরি করেছে কর্নাটকের গণেশ ভট্ট। সেটিও গর্ভগৃহে স্থান পায়নি। তবে মন্দিরের কোথাও রাখা থাকবে।

সোমবার যে মূর্তির ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে, সেটি তৈরি হয়েছে কৃষ্ণশিলায়। প্রায় ৩০০ কোটি বছরের পুরনো কৃষ্ণশিলা দিয়ে তৈরি হয়েছে ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার বিগ্রহ। এ কথা জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রক মেকানিকসের এইচএস ভেঙ্কটেশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই শিলা খুবই মজবুত। জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত সহ্য করে হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এই নিরক্ষীয় অঞ্চলে। মাইসুরুর গুজ্জেগৌদানাপুরার থেকে খনন করে তোলা হয়েছে।

Advertisement

‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন বিগ্রহকে পরানো হয় হলুদ বেনারসি ধুতি এবং লাল পট্টবস্ত্র। তাতে সোনার জরির কাজ। শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, ময়ূর খচিত রয়েছে তাতে। বিগ্রহের গলায় ছিল চারটি হার, কানে কুণ্ডল, মাথায় মুকুট, আঙুলে আংটি, হাতে বালা, বাহুতে বাজু, পায়ে পায়েল। মাথার পিছনে সোনার ছাতা। সোনার গয়নায় বসানো রয়েছে মূল্যবান হিরে, চুনি, পান্না, মুক্তো। বিগ্রহের সামনে রুপোর খেলনাও রাখা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement