৫১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের বিগ্রহটি তৈরি হয়েছে প্রায় তিনশো কোটি বছরের পুরনো কৃষ্ণশিলা দিয়ে। — ফাইল চিত্র।
সোমবার অযোধ্যার মন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হল রামলালার। এর পর থেকে নতুন নামে ডাকা হবে তাঁকে। কী সেই নতুন নাম, তা প্রকাশ করেছেন এক পুরোহিত, যিনি ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত জানিয়েছেন, এখন থেকে অযোধ্যার মন্দিরের রামলালাকে ‘বালক রাম’ বলে ডাকা হবে। কেন, তার কারণও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মন্দিরে রামের বিগ্রহ পাঁচ বছরের বালকের মতো। সে কারণেই এই নামকরণ।’’ পিটিআইকে তিনি জানান, প্রথম বার রামের বিগ্রহ দেখে তাঁর চোখ থেকে জল চলে গড়িয়ে পড়েছিল। কী রকম অনুভূতি হয়েছিল তার, বুঝিয়ে বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন অরুণ।
অরুণ আদতে বারাণসীর। এখন পর্যন্ত ৫০-৬০ বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করেছেন। এর মধ্যে সব থেকে ‘বিশেষ’ যে অযোধ্যার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এটাই সব থেকে অলৌকিক এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের।’’
সোমবার অযোধ্যার মন্দিরে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পাশে ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। শিল্পপতি, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ-সহ প্রায় সাত হাজার বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন কর্নাটকের শিল্পী যোগীরাজ। প্রায় ২৫০ কোটি বছরের পুরনো কৃষ্ণশিলা দিয়ে তৈরি হয়েছে ৫১ ইঞ্চি উচ্চতার বিগ্রহ। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র দিন বিগ্রহকে পরানো হয়েছে হলুদ বেনারসি ধুতি এবং লাল পট্টবস্ত্র। তাতে সোনার জরির কাজ। শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, ময়ূর খচিত রয়েছে তাতে। বিগ্রহের গলায় ছিল চারটি হার, কানে কুণ্ডল, মাথায় মুকুট, আঙুলে আংটি, হাতে বালা, বাহুতে বাজু, পায়ে পায়েল। মাথার পিছনে সোনার ছাতা। সোনার গয়নায় বসানো রয়েছে মূল্যবান হিরে, চুনি, পান্না, মুক্তো। বিগ্রহের সামনে রুপোর খেলনাও রাখা রয়েছে।