সোনমার্গে সন্ত্রাসী হামলা নিহত চিকিৎসকের ছেলে মহসিন দার। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
সামনে বাবার দেহ। সেই দেহ আঁকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর ছেলে। সেই কান্নাভেজা গলায় তাঁর আর্তনাদ, ‘‘আমার স্বপ্ন ভেঙে গেল।’’ ভেবেছিলেন আইএএস অফিসার হবেন, কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর সেই স্বপ্নই ধাক্কা খেল তাঁর।
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের গন্ডেরবাল জেলার সোনমার্গে সন্ত্রাসী হামলা আট জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যেই ছিলেন চিকিৎসক শাহনওয়াজ় দার। সোমবার তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় গ্রামের বাড়িতে। তখনই কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার। আর বাবার দেহ আগলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর ছেলে মহসিন দার। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা এলাকায় সৎ এবং সম্মানিত মানুষ ছিল। আমার বাবা চেয়েছিল আমি ডাক্তার হই। কিন্তু আমি আইএএস অফিসার হতে চেয়েছিলাম। আমার দাদা এক জন পুলিশ ইনস্পেক্টর। ও বিশ্বাস করে, আমি এক জন আইএএস অফিসার হতে পারি।’’
সেই স্বপ্নপূরণ করার জন্য সংকল্প নিয়েছিলেন তাঁর বাবা, এমনই জানান মহসিন। তিনি বলেন, ‘‘আমার মতো আমার বাবাও স্বপ্ন দেখে আমি আইএএস অফিসার হব। কিন্তু গতকালের খবর শোনার ভেঙে পড়েছি।’’
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে গন্ডেরবালে জ়ি মোড় সুড়ঙ্গ পথের কাজ চলছে। কাশ্মীরে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে এই সুড়ঙ্গপথ তৈরি করছে কেন্দ্র। তুষারধস প্রবণ রাস্তার বিকল্প হিসাবে এই সুড়ঙ্গপথটি তৈরি করা হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় আচমকাই নির্মাণস্থলে কয়েক জন জঙ্গি এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় কর্মরত শ্রমিকদের শরীর। ওই নির্মাণস্থলে ছিলেন এক চিকিৎসকও। তিনি ওই নির্মাণদলের সদস্য। তাঁর শরীরেও গুলি লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।