গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মিজ়োরামে ভোটপর্ব মিটতেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তৎপর হল কংগ্রেস। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের সক্রিয়তা শুরু উত্তর-পূর্বের বৃহত্তম রাজ্য অসমে।
ডিব্রুগড়ে শুক্রবার থেকে বিজেপি বিরোধী ১৫টি দলের দু’দিনের বৈঠক শুরু হয়েছে। অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন বরা বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা ভোটে ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের নতুন জোট ‘ইউনাইটেড অপোজিশন ফোরাম অসম’-এর বৈঠকে।’’
কংগ্রেস ছাড়াও তৃণমূল, আম আদমি পার্টি (আপ), এনসিপি, আরজেডি, জেডি(ইউ) সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই-এমএল লিবারেশন, শিবসেনা (ইউবিটি)-র মতো ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা হাজির ছিল বৈঠকে। ছিল লুরিনজ্যোতি গগৈয়ের অসম জাতীয় পরিষদ, অখিল গগৈয়ের রাইজর দল, জনজাতি সংগঠন ‘অল পার্টি হিল লিডারস কনফারেন্স’, জাতীয় দল অসম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক।
অসম-সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-র মোকাবিলায় কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলির এই তৎপরতা লোকসভা ভোটে ‘নির্ণায়ক’ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, অসম প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রিপুন বরা, সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সুস্মিতা দেব এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তৃণমূল নেতা।
প্রসঙ্গত, মণিপুরের সাম্প্রতিক গোষ্ঠীহিংসার জেরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নেডার শরিক বেশ কয়েকটি দল বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সহযোগী এমএনএফের প্রধান জ়োরামথাঙ্গা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির হতেও অসম্মত হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।
আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘নেডা’র মোকাবিলায় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। দীর্ঘ দিন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে কংগ্রেস সংগঠনের দায়িত্ব থাকা এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অসমের ধাঁচে লোকসভা ভোটের আগে উত্তর-পূর্বের আরও কয়েকটি রাজ্যে বিরোধী জোট গড়া হবে।’’