ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের উইকেট পড়ার পরে উল্লাস পাকিস্তানের সাজিদ খান (বাঁ দিকে) ও বাবর আজ়মের। ছবি: সমাজমাধ্যম।
এক দিনেই বদলে গেল খেলার ছবিটা। মুলতানে পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ় প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন পড়ল ১৯ উইকেট। পাকিস্তানে টেস্টে এক দিনে এত উইকেট এর আগে পড়েনি। দুই স্পিনারের দাপটে দ্বিতীয় দিনই টেস্টের ভাগ্য প্রায় পরিষ্কার। দ্বিতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের থেকে ২০২ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। খুব অঘটন না ঘটলে এই টেস্টে ফেরা কঠিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের।
দ্বিতীয় দিন পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের বাকি চারটি উইকেট পড়ে। ৭১ রানে আউট হন অধিনায়ক মহম্মদ রিজ়ওয়ান। সাজিদ খান করেন ১৮ রান। ২৩০ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। দিনের শুরুটাই বলে দিচ্ছিল শেষটা কী হতে চলেছে। হলও তাই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে বোলিং শুরু করেন স্পিনার সাজিদ খান। পাকিস্তানের যে চার জন বল করেছেন তার মধ্যে তিন জন স্পিনার। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও খেই পাচ্ছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটারেরা। সাজিদের পাশাপাশি নজর কাড়েন নোমান আলিও। তাঁদের দাপটে মাত্র ৬৬ রানে ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের। শেষ দিকে গুড়াকেশ মোতি, জোমেল ওয়ারিকান ও জেয়ডেন সিলস না থাকলে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হত। ১০ নম্বরে নেমে দলের মধ্যে সর্বাধিক ৩১ রান করেন ওয়ারিকান। দ্বিতীয় সর্বাধিক রান ১১ নম্বরে নামা সিলসের (২২)। মাত্র ১৩৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
পাকিস্তানের দুই স্পিনার নোমান আলি ও সাজিদ ৯ উইকেট তুলে নেন। নোমান ৫ ও সাজিদ ৪ উইকেট নিয়েছেন। বাকি ১টি উইকেট নিয়েছেন আব্রার আহমেদ। অর্থাৎ, ১০টি উইকেটই গিয়েছে স্পিনারদের ঝুলিতে।
৯৩ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। অধিনায়ক মাসুদ অর্ধশতরান করেন। ভাল দেখাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু ৫২ রানের মাথায় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রান আউট হন তিনি। অপর ওপেনার মুহম্মদ হুরাইরা করেন ২৯ রান। বাবর আজ়ম ৫ রান করে আউট হয়েছেন।
দিনের শেষে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১০৯। এখনই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের থেকে ২০২ রানে এগিয়ে তারা। এখনও ৭ উইকেট বাকি পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ১০০ রানও যদি পাকিস্তান করতে পারে তা হলে তা তাড়া করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। দ্বিতীয় দিনেই স্পিনারের যা বল করেছেন তাতে এই পিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটারদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন।