ডায়াবিটিস বা হার্টের রোগ থাকলেও বাদাম খাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিগুণের নিরিখে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা পেস্তাবাদাম খাবারের তালিকায় উপরের দিকে থাকলেও ‘পাশের বাড়ির ছেলে’ চিনেবাদাম কিন্তু পিছিয়ে নেই। হলে সিনেমা দেখতে দেখতে কিংবা পার্কে বান্ধবীর হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে আগে এই বাদাম খাওয়ারই চল ছিল। এখন অবশ্য সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘পপকর্ন’। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিনেবাদামে যে ধরনের উপাদান রয়েছে, তা স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল। ডায়াবিটিস বা হার্টের রোগ থাকলেও বাদাম খাওয়া যায়। তবে তা অবশ্যই খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
একমুঠো বাদাম খেলে কী কী উপকার পেতে পারেন?
১) প্রোটিন
মাছ, মাংস, ডিম খান না, এমন অনেকেই প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে বাদাম খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাদাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের খুব ভাল একটি উৎস। ৭ থেকে ১০ গ্রাম বাদামে যে পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়, তা একটি ডিমের সমান।
২) স্বাস্থ্যকর ফ্যাট
চিনেবাদামের মধ্যে যে ধরনের ফ্যাট থাকে, তা হার্টের জন্যে ভাল। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বাদামের মধ্যে থাকা মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট।
৩) হজমে সহায়ক
বাদামের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হতে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত একমুঠো বাদাম খেলে হজমের সমস্যাও থাকে না। হজম ভাল হলে বিপাকহারের উপর তার প্রভাব পড়ে। রক্তে ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাদাম। ফলে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয় না।
৪) ভিটামিন এবং খনিজ
ভিটামিন ই, বি, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মতো নানা ধরনের উপাদান রয়েছে চিনেবাদামে। শারীরবৃত্তীয় নানা কার্যকলাপে অংশ নেয়, এমন বহু উৎসচেক ক্ষরণে সাহায্য করে এই উপাদানগুলি। তা ছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কার্যকলাপ স্বাভাবিক রাখার জন্যেও চিনেবাদাম খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে
অনেকেরই ধারণা, বাদাম খেলে দেহের মেদ বেড়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে বাদাম। কারণ, চিনেবাদামে প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি হলেও ক্যালোরির পরিমাণ কম।