স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের মেলবন্ধন রয়েছে ‘এগ-নুডল্স রোল’এ। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলের টিফিন বাক্সে রোজ রোজ নতুন খাবার কী দেওয়া যায় বলুন তো? স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বাড়ি থেকে যা-ই দেওয়া হয়, তা পেটে যায় না। প্রায়শই বাড়িতে ফিরে আসে। অথচ রাস্তার পাশে রোল, চাউমিনের দোকানের সামনে দিয়ে গেলে খুদেকে ধরে রাখা দায়। এই জাতীয় মুখরোচক খাবার স্বাদে ভাল হলেও রোজ রোজ খাওয়া উচিত নয়। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে এগরোল তৈরি করে দেন। কিন্তু পর পর দু’দিন খেলেই তার মুখ ব্যাজার হয়ে যায়। তবে খুদের মন জয় করতে এগরোল বানাতে পারেন নুডল্সের পুর দিয়ে। খেতে যেমন ভাল হবে, তেমন পেটও ভরবে। এই ধরনের রান্না একটু সময় সাপেক্ষ, তাই আগের দিন রাতে চাউমিনের পুর তৈরি করে রাখা যেতেই পারে। কিন্তু কী ভাবে তৈরি করবেন? রইল রেসিপি।
উপকরণ
রোলের পুর তৈরি করার জন্য:
নুডল্স: ১ প্যাকেট
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
ক্যাপসিকাম কুচি: আধ কাপ
গাজর কুচি: আধ কাপ
রসুন কুচি: ২ টেবিল চামচ
ডিম: ২টি
টোম্যাটো সস: ২ টেবিল চামচ
সয়া সস: ১ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
সাদা তেল: ২ টেবিল চামচ
রোলের জন্য:
ময়দা: আধ কাপ
আটা: আধ কাপ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
সাদা তেল: ৪ টেবিল চামচ
ডিম: ৪টি
গোলমরিচ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
শসা কুচি: আধ কাপ
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
লেবুর রস: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী
১) যে ভাবে বাড়িতে চাউমিন তৈরি করেন, সেই ভাবে প্রথমে রোলের পুর তৈরি করে নিন।
২) এ বার রোল তৈরি করার জন্যে প্রথমে আটা, ময়দা মিশিয়ে তার মধ্যে সামান্য নুন এবং সাদা তেল দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। আধঘণ্টা রেখে দিতে পারলে ভাল হয়।
৩) এ বার মণ্ড থেকে লেচি কেটে বেলে নিন।
৪) চাটুতে প্রথমে রুটির মতো সেঁকে রাখুন।
৫) অন্য একটি চাটুতে তেল দিয়ে ডিম ভেঙে দিয়ে দিন।
৬) পুরো ভাজা হওয়ার আগেই তার উপর চাপিয়ে দিন রুটির পরত। এবার উল্টে পাল্টে ভাল করে ভেজে নিন।
৭) ভাজা পরোটার ভিতর প্রথমে অল্প চাউমিনের স্তর সাজিয়ে দিন।
৮) উপর থেকে শসা, টোম্যাটো এবং পেঁয়াজ কুচিও দিতে পারেন।
৯) অনেকে রোলের মধ্যে লেবুর রস দিতেও পছন্দ করেন।
১০) এ বার রোলের আকারে মুড়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চাউমিন ভরা এগরোল।