দাঁতের যত্নে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা এনামেল নষ্ট হতে দেয় না। ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের সঙ্গে দাঁতের সম্পর্ক নিবিড়। দাঁত ভাল রাখতে বেশ কিছু খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। আবার এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল। চিকিৎসকেরা বলেন, সাধারণত ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার মাড়ি বা দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করে। আবার অনেক খাবার মুখের মধ্যে লালার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। দাঁত ভাল রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল এনামেলের যত্ন নেওয়া। কারণ, দাঁতের উপর থাকা এনামেলের পরত কোনও ভাবে উঠে গেলেই দাঁত ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। তাই দাঁতের যত্নে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা এনামেলের যত্ন নেয় এবং মুখগহ্বরের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত রোধ করে।
১) জল
দাঁতের যে কোনও সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় সারিয়ে তুলতে পারে জল। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে মুখে লালা উৎপানের প্রক্রিয়া সাবলীল থাকে। ফলে কোনও খাবার খাওয়ার পর, মুখের লালা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলতে পারে।
২) দুগ্ধজাত খাবার
শুধু হাড় নয়, দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্যে দুধ, দই, চিজ়ের মতো খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্ত খাবারে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। যা সহজে দাঁতের এনামেল নষ্ট হতে দেয় না।
৩) গাজর
প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতের ক্ষয় রোধ করে এনামেল। ভিটামিন এ-র অভাবে এই এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত গাজর খেলে এই সমস্যা থাকে না। কারণ, গাজরে ভিটামিন এ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
৪) গ্রিন টি
মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার দাপট রুখে দিতে পারে গ্রিন টি। কোনও কিছু খাওয়ার পরে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে হাতের কাছে মাউথ ওয়াশ না থাকলে গ্রিন টি দিয়েই সেই কাজ করে ফেলতে পারেন।
৫) কিউই
মাড়ি ভাল রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । লেবুজাতীয় ফল, স্ট্রবেরি ছাড়াও কিউইতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে এই ফল।
৬) কাঠবাদাম
কাঠবাদামে ক্যালশিয়াম রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। দাঁতের এনামেল নষ্ট হওয়া আটকাতে ক্যালশিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাড়ির জন্যেও কাঠবাদাম খাওয়া ভাল।
৭) পেঁয়াজ
মুখে গন্ধ হওয়ার ভয়ে পেঁয়াজ খান না? কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁচা পেঁয়াজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মুখের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে দিতে পারে। দাঁত কিংবা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা হলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে পেঁয়াজ।