সৃজন ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
অগোছালো দাড়ি, পাঞ্জাবি, জিন্স, হাওয়াই চটির ধ্রুপদী বাম-‘চার্ম’ তাঁর আছে। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী তথা এসএফআইয়ের নেতা সৃজন ভট্টাচার্য তার উপর কখনও-সখনও সুভাষ চক্রবর্তীর স্টাইলের লাল পানামা হ্যাটও পরে নেন প্রচারে। পোশাকের রং লাল থেকে নীল হয়ে ধূসর, কালো কিংবা সাদায় বদলে বদলে যায়। ভালবেসে পরানো মালার ফুলও বদলে যায় রজনীগন্ধা থেকে কমলা গাঁদা হয়ে টুকটুকে লাল জবায়। তবে গলায় ফাঁস দেওয়া লাল রঙের উত্তরীয়টি বদলায় না।
অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী বলেছেন, সৃজনকে দেখতে ভাল। তাই ভোটটা তাঁকেই দেওয়া উচিত। তবে সৃজন নিজের দর্শন গুণের ভরসায় না থেকে দর্শক টানার আরও ব্যবস্থা করেছেন। যাদবপুরে সৃজনের সমর্থনে ছোট ছোট প্রচারসভায় দেখা গিয়েছে মণি-মানিক্যের ছড়াছড়ি। ত্রিপুরা থেকে মানিক সরকার এসেছেন। এসেছেন মানিক ওরফে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্র ‘ফেলুদা’ অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীও। সীতারাম ইয়েচুরি, মহম্মদ সেলিম, গৌতম দেব, সূর্যকান্ত মিশ্রের মতো বর্ষীয়ান নেতারা যেমন হাজির হয়েছেন, তেমনই থেকেছেন দীপ্সিতা ধর, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মতো তরুণ নেত্রীরাও। আবার বিনোদন জগতের বামমনস্ক তারকারাও থেকেছেন সৃজনের পাশে।
তাঁর প্রচারের কনভয়ে ইটবৃষ্টি হয়েছে। আবার মহিলা ভক্তরা এগিয়ে এসে নিজস্বীও তুলেছেন। জানিয়েছেন মুগ্ধতার কথা। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা আদর করে জড়িয়ে ধরেছেন। বিপক্ষের ভোটাররা এগিয়ে এসে জানিয়েছেন, ভোটটা তাঁকে দিচ্ছেন না। সৃজন কাউকে মিষ্টি লাজুক হাসি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আবার কাউকে গান্ধীবাদী হয়ে জানিয়েছেন, ভোট যাঁকেই দিন, তিনি মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাবেন।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ