কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র।
কফি রঙের ঢিলে পাঞ্জাবি। ঢলঢলে কালো পাঠানি প্যান্ট। মাথায় পাগড়ি থাকলেই ‘কাবুলিওয়ালা’র রহমত হয়ে যেতেন। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী পরেছিলেন মার্ক্সবাদী বিপ্লবী চে গেভারার কায়দার ‘বেরে’ টুপি। প্রচারে বেরিয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে। শুরুতে গলায় ক্রিম রঙের ঢাকাই নকশার উড়নি থাকলেও পরে তার উপরে চড়ল লালচে গেরুয়া উত্তরীয়।
তাঁর গা-গরম করা চেনা সংলাপ ‘জাত গোখরো’ বা ‘মারব এখানে...’ শোনা গেল না। তবে ‘মহাগুরু’ জনতাকে পুরো নিরাশ করেননি। পুরনো ডায়লগ একটু ঘষেমেজে ছাড়লেন: ‘চিমটি কাটব এখানে, লাল পিঁপড়ের মতো জ্বলবে এখানে-ওখানে-সেখানে!’ ঠা ঠা গরমে টানা প্রচার। আগের দিন অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। উড়নি দিয়ে ঘাম মুছছিলেন বার বার। কিন্তু থামেননি।
তাঁকেই দেখতে রাস্তার দু’পাশে উপচে পড়া ভিড়। ডিস্কো ডান্সারের জন্য পথে নেমে নাচতে শুরু করে দেন মহিলারাও। ভিড়ের তোড়ে মিঠুনের প্রচার-গাড়ি এগোতেই পারছিল না এক সময়। অতি উৎসাহে কেউ কেউ প্রায় উঠে পড়ছিলেন তাঁর গাড়িতেই। শেষে নিজেই ট্র্যাফিক সামলানোর দায়িত্ব নিলেন জোড়াবাগানের ‘গৌরাঙ্গ’ থেকে হিন্দি ছবির ‘মিঠুন’ হয়ে ওঠা বঙ্গসন্তান। পরে বিজেপির জয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সংক্ষিপ্ত জবাব: ‘’মানুষের সাড়া দেখে কী মনে হচ্ছে?’’
গ্রাফিক— সনৎ সিংহ