প্রচারে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
একই সাজ। ধর্মতলার প্রতিবাদ সভার যা পোশাক, বালুরঘাটের প্রচার সভারও তা-ই। সেই গলাবন্ধ, হাঁটুঝুল, সাদা পাঠানি কুর্তা। সাদা চুড়িদার। উড়নির গেরুয়া রঙেও বদল নেই। তবে বালুরঘাটে গেরুয়ার দু’পাশে ছিল গাঢ় সবুজ রঙের চওড়া পাড়। গালে নুন বেশি, মরিচ কম দাড়ি যত্ন পায়নি দিন দু’য়েক। ডান হাতের কালো তাগা আর হিরে-পান্নার আংটিও বদলায়নি।
দুর্গা আর কালীকে করজোড়ে প্রণাম করে বক্তৃতা শুরু। তার পরে একে একে শিব, রাম এমনকি, রামমন্দিরের রামলালার নামও নিলেন। ২১ মিনিটের বক্তৃতায় ঘুরে ফিরে এল ধর্ম আর ‘মমতাদিদি’র নাম। তবে উত্তেজনায় ‘আপনি-তুমি’ গেল গুলিয়ে। গুলিয়ে গেল উচ্চারণও। আঙুল তুলতে ভালবাসেন, বোঝা গেল। সভায় প্রশ্ন করলেন, প্রশংসা করলেন, প্রতিশ্রুতি দিলেন— সবটাই নাগাড়ে তর্জনী উঁচিয়ে।
সভায় ভিড় না হলে নেতাদের মন ভরে না। এর আগে কলকাতায় একবার সভা করতে এসে কম জমায়েত দেখে ক্ষুন্ন হয়েছিলেন শাহ। বালুরঘাটে অবশ্য ভিড় দেখে খুশি ‘মোটাভাই’। হেসে বললেন, ‘‘লোগ হি লোগ নজর আ রহা হ্যায়! যা ভিড় হয়েছে, তাতে আর কিছু করার বাকি আছে বলে তো মনে হয় না। ভোট তো হয়েই গিয়েছে।’’
গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।