ছবি: পিটিআই।
দীর্ঘ বিতর্ক পর্বের পর বুধবার গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হল সংশোধিত ওয়াকফ বিল। বিলের পক্ষে ২৮৮ এবং বিপক্ষে ২৩২ জন সাংসদ ভোট দিলেন। ব্যবধান ৫৬। মোট ভোট পড়ল ৫২০। তেমন কোনও অশান্তি হয়নি অধিবেশনে। বৃহস্পতিবার বিল পেশ হবে রাজ্যসভায়।
বুধবার লোকসভায় বিল পেশের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সরকারের অবস্থানের কথা জানান। এর পরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পেশ করেন । বিল পেশের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, জেপিসিতে ভিন্ন মত প্রকাশ করে বিরোধী সাংসদদের দেওয়া নোটগুলি উপেক্ষা করা হয়েছে বিলে।
বিরোধীরা বিল নিয়ে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়াচ্ছেন বলে বুধবার লোকসভায় অভিযোগ করেন রিজিজু। বিলের সমালোচনা যাঁরা করছেন, তাঁদের নিশানা করে রিজিজু বলেন, “যখন আমরা কোনও ইতিবাচক সংস্কার আনছি, তখন কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?” আলোচনা এবং সকলের মতামত নেওয়ার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান রিজিজু। তিনি বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধি দল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।”
রিজিজুর নিশানায় ইউপিএ
বিল পেশের পর পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে আক্রমণ করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ এবং বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তাঁর দাবি, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করছে না সংশোধিত ওয়াকফ বিল। শুধুমাত্র ওয়াকফ সম্পত্তির যথাযথ দেখভাল এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কল্যাণের উদ্দেশ্যেই ওয়াকফ আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আজ, আমাদের দেশে মোট ওয়াকফ সম্পত্তির সংখ্যা ৪.৯ লক্ষ থেকে বেড়ে ৮.৭২ লক্ষ হয়েছে। যদি এই পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি সঠিক ভাবে পরিচালিত হত, তা হলে সেটি কেবল মুসলমানদের জীবনকেই উন্নত করত না, সমগ্র দেশের ভাগ্যকেও বদলে দিত...।’’
মেরুকরণের অভিযোগ গৌরব, অখিলেশের
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন, মেরুকরণের উদ্দেশ্যেই সংশোধিত ওয়াকফ বিল এনেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী আগে ইদের উৎসবে যোগ দিতেন। হঠাৎ কী হল জানি না। আমাদের সংবিধান কি এই শিক্ষা দেয়!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই বিজেপি কোনও বিল আনে, নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দেওয়ার জন্য আনে।’’ সেই ‘ব্যর্থতা’র উদাহরণ প্রসঙ্গে অখিলেশ বুধবার মোদী সরকারের নোটবন্দির প্রসঙ্গও তুললেন। তাঁর দাবি, একের পর এক ব্যর্থতা দিয়ে এই বিল তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, বিজেপি শুধু একটি পুরনো ঘটনার কথাই ভাবে, অযোধ্যার কথা। অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈও ওয়াকফ বিল নিয়ে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে মেরুকরণের অভিযোগ তোলেন। তাঁর মন্তব্য, “এই বিল সংবিধানকে অবজ্ঞা করতে চায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অপদস্থ করতে চায় এবং ভারতের সমাজকে বিভক্ত করতে চায়।” সেই সঙ্গে রিজিজুকে নিশানা করে তাঁর তোপ— ‘‘সংসদকে বিভ্রান্ত করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।’’
‘অসাংবিধানিক’ বললেন কল্যাণ
ওয়াকফ বিল নিয়ে জেপিসিতে বিতণ্ডার সময় উত্তেজনার মুহূর্তে কাচের বোতল ভেঙে আহত হয়েছিলেন তিনি। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারের বিতর্কে অংশ নিয়ে ওয়াকফ বিলকে সরাসরি ‘অসাংবিধানিক’ বললেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি এই বিলকে একেবারেই সমর্থন করছি না। এই বিল অসাংবিধানিক। তৃণমূলের তরফে আমরা এই বিলের বিরোধিতা করছি।’’ তাঁর অভিযোগ, বিজেপির আনা এই বিলে মুসলমানদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। ওয়াকফ বিলের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কল্যাণ বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ভাগ করতে চাইছে। যদি ওরা একতাই চায়, তা হলে বিলে কেন ভাগের চেষ্টার কথা? সম্প্রদায়ের উপর ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ শাসকদলের খারাপ উদ্দেশ্যই ইঙ্গিত করে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল হল সরকারি মাধ্যম দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের একটি প্রচেষ্টা। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি অযৌক্তিক। ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মেরুদণ্ড।’’
মোদীকে স্বস্তি দিল তিন শরিক
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গার জন্য তাঁকে দায়ী করে এনডিএ ছেড়েছিলেন লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভা থেকে। বিহারের প্রয়াত দলিত নেতার পুত্র চিরাগ কিন্তু বুধবার ওয়াকফ বিল নিয়ে মোদী সরকারের পাশেই দাঁড়ালেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওয়াকফ বিল নিয়ে অবস্থান ধোঁয়াশায় রাখার পরেও শেষ পর্যন্ত বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে আরও দুই শরিক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি। জেডিইউর লল্লন সিংহ এবং টিটিপির কৃষ্ণপ্রসাদ তেন্নেতি বুধবার বিতর্কে অংশ নিয়ে দাবি করেন, পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কল্যাণে সহায়ক হবে সংশোধিত ওয়াকফ বিল। নির্যাতিত মুসলিম এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ণেরও সহায়ক হবে। লল্লনের কথায়, ‘‘বিরোধীরা তাঁদের ক্ষমতায়ণের বিরুদ্ধে কি?’’জেডিইউর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের বিধান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, যেখানে ওয়াকফকে যে কোনও জমি দাবি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন,‘‘এটা কোন ধরনের আইন ছিল যেখানে ওয়াকফকে যে কোনও জমির মালিকানা পেতে অনুমতি দেয়?’’
বিরোধিতায় ঐক্যবদ্ধ ‘ইন্ডিয়া’
কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি (শরদ), ডিএমকে, আরজেডির পাশাপাশি বুধবার লোকসভায় সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করেছে ‘একদা হিন্দুত্ববাদী’ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (ইউবিটি)। উদ্ধবসেনার সাংসদ অরবিন্দ সাবন্ত ওয়াকফ বোর্ডে দুই অমুসলিম সদস্য এবং ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিইও পদে আমলা নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকার কি মন্দির কমিটিতে অহিন্দুদের থাকার অনুমতি দেবে? কী কারণে তারা ওয়াকফ বোর্ডের কমিটিতে অমুসলিমদের স্থান দেওয়ার চেষ্টা করছে?’’
পাশাপাশি অরবিন্দের দাবি, জেপিসিতে প্রতিটি বিষয় ধরে ধরে আলোচনা হয়নি। বস্তুত, মঙ্গলবার সন্ধ্যার বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লোকসভায় বিলের বিরোধিতা করেছে ‘ইন্ডিয়া’। যদিও ওয়েলে নেমে স্লোগান বা হট্টগোলের পথে না হেঁটে বিতর্কে অংশ নিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তাঁরা। যুক্তি এবং তথ্যের ভিত্তিতে নিশানা করেছেন সরকার পক্ষকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘ইন্ডিয়া’-বহির্ভূত বিরোধী দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি’র প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের নাগিনা কেন্দ্রের দলিত সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণও সংশোধিত ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক বিভাজনের অভিযোগ তোলেন।
শাহের নিশানায় বিরোধীরা
ওয়াকফ বিল বিতর্কে বুধবার লোকসভায় বিরোধীদের বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে অন্যের জমি দান করে দেওয়া যায় না। দান একমাত্র নিজের জমিই করা যায়।’’ সংসদে একটি তালিকা হাতে নিয়ে শাহ জানালেন, কোন কোন জমি ওয়াকফকে দান করা হয়েছে। শাহের বক্তব্য, তার মধ্যে মন্দিরের জমি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অন্যান্য ধর্মীয় স্থান এবং সরকারের জমি। এর পরেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘একজন মুসলিম তো চ্যারিটি কমিশনার হতেই পারেন। তাঁকে ট্রাস্ট দেখতে হবে না, আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট কী ভাবে চলবে, সেটা দেখতে হবে। এটা ধর্মের কাজ নয়। এটা প্রশাসনিক কাজ। সব ট্রাস্টের জন্য কি আলাদা আলাদা কমিশনার থাকবে? আপনারা তো দেশ ভাগ করে দিচ্ছেন। আমি মুসলিম ভাই-বোনদের স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, আপনাদের ওয়াকফ বোর্ডে কোনও অমুসলিম থাকবে না। এই আইনে এমন কিছু নেই।’’
একই সুরে অভিজিৎ, তেজস্বী
প্রথম জন কলকাতা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। দ্বিতীয় জন, নতুন প্রজন্মের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী মুখ। বুধবার দুই বিজেপি সাংসদই এক সুরে ওয়াকফ বিলকে সাধুবাদ জানালেন। প্রথম জন, পশ্চিমবঙ্গের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয় জন কর্নাটকের তেজস্বী সূর্ষ। তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিতের প্রশ্ন, “১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের কোথাও উল্লেখ কি উল্লেখ রয়েছে যে ওয়াকফ বোর্ডের পাওয়া টাকা বিধবা মুসলিম মহিলা, শিশু এবং অনাথদের জন্য খরচ করা হবে?” এর পরেই বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধীরা ১২ ঘণ্টা ধরে চিৎকার করে যাচ্ছেন, কিন্তু এমন কিছু দেখাতে পারেননি।” বিজেপি সাংসদের দাবি, নতুন বিলে নরেন্দ্র মোদীর সরকার নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছে এই বিষয়ে। সেখানে এই টাকা বিধবা, দরিদ্র এবং অনাথদের জন্য ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, ২০১৩ সালে ইউপিএ সরকারের জমানায় সংশোধিত ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করলেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তাঁর বক্তব্য, ২০১৩ সালের ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে কংগ্রেস ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী’ একটি দৈত্য তৈরি করেছিল। যেখানে ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা ছিল। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ছিল না সেখানে। তিনি বলেন, “আইনের ৪০ নম্বর ধারায় মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ড ইচ্ছামতো যে কোনও জমি দখল করার সুবিধা পেয়েছে। যাঁদের এই বিষয়ে আপত্তি ছিল, তারা ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে পারতেন। এই ট্রাইব্যুনালটি ছিল একটি ‘কাঙারু কোর্ট’-এর মতো। এখানে যা নির্দেশ দেওয়া হত, সেটিই চূড়ান্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে আবেদন করা যেত না।”
আডবাণী, সুষমারা কি ভুল ছিলেন? প্রশ্ন ওয়েইসির
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আমলে সংসদে কোনও বিতর্ক ছাড়াই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল। ওই সংশোধনী নিয়ে বুধবার দিনভর বিজেপি সাংসদের সমালোচনা প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর প্রশ্ন— ‘‘সে দিন এই সংসদে লালকৃষ্ণ আডবাণী হাজির ছিলেন। ছিলেন প্রয়াত সুষমা স্বরাজ। রাজনাথ সিংহজিও (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) ২০১৩ সালের ওয়াকফ সংশোধনী বিল সর্বসম্মত ভাবে পাশ হওয়ার সময় সংসদে ছিলেন। আমার একটাই প্রশ্ন, আডবাণীজিরা কি সে দিন ভুল ছিলেন? কেন তাঁরা বিনা আপত্তিতে বিল পাশ হতে দিয়েছিলেন?’’ আসাদউদ্দিনের অভিযোগ, মোদী সরকারের ওয়াকফ বিলের উদ্দেশ্য মুসলিমদের জমির অধিকার কেড়ে নিয়ে তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা।