সংগৃহীত চিত্র।
কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম নথিভুক্ত করেছিল ৭৩ হাজারের মতো পড়ুয়া। এর মধ্যে মাত্র ২৭ হাজারের বেশি পড়ুয়া নতুন করে নাম নথিভুক্ত করে ভর্তি হয়েছে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। ৫৬ হাজারের বেশি পড়ুয়া অনুপস্থিত থেকে গেল দ্বিতীয় রাউন্ডে। আসনসংখ্যা কি তবে অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
বিগত কয়েক বছরে স্নাতকস্তরে বহু আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। এ বার তাই অতিরিক্ত আসন নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে উচ্চশিক্ষা দফতর।
দফতরের ভাইস চেয়ারম্যান আশুতোষ ঘোষ বলেন, “বিগত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, পড়ুয়ার সংখ্যার থেকে আসন সংখ্যা অনেকটা বেশি। ফলে প্রত্যেক বার আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। আমরা এ বার এ বিষয়ে পদক্ষেপ করব যাতে অতিরিক্ত আসন না থাকে।”
২৩ তারিখ পর্যন্ত টাকা জমা দিয়ে নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ৭৩ হাজার ৬৫৩ জন। এখানে দেখা যাচ্ছে, মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। কিন্তু, দ্বিতীয় রাউন্ডে আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১১৪ জনের। যার মধ্যে প্রায় ৭৩ হাজার পড়ুয়া দ্বিতীয় রাউন্ডের ভর্তির প্রথম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, এখনও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। সশরীরে কলেজে গিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলেই পুরো তথ্য পাওয়া যাবে। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যা আসন ছিল, তার থেকে নাম নথিভুক্তকরণ কম হয়েছে।
চলতি মাসের ২০ তারিখ দ্বিতীয় রাউন্ডের মেধা তালিকা অনুযায়ী পড়ুয়াদের সিট অ্যালটমেন্টের প্রক্রিয়া চলে। ২৭ তারিখ থেকে ৩০ অগস্ট পর্যন্ত সিট আপগ্রেড করতে পারবে পড়ুয়ারা। ৩ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সশরীরে কলেজে যাচাই পর্ব চলবে। স্নাতকে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার মতো। যার মধ্যে প্রথম রাউন্ডে ১৩,৫০০ জন পড়ুয়া সশরীরে নথি যাচাইয়ে উপস্থিত ছিল না। উল্লেখ্য, প্রথম দফায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে নথি যাচাইয়ের পরে ক্লাস শুরু করেছে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৬৪ জন পড়ুয়া। ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৪ জন ছাত্রছাত্রী প্রথম পর্বে নিজেদের পছন্দসই কলেজ ও বিষয়ের নাম নথিভুক্ত করেছিল। প্রথম রাউন্ড শেষে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬৩ জন পড়ুয়ার নাম ছিল। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আসন ফাঁকা থেকে যায়। যা সংখ্যার নিরিখে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো। দ্বিতীয় রাউন্ডে টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পরে দেখা যাচ্ছে ৫৬ হাজার ৪৬১ জনেরও বেশি পড়ুয়া টাকা জমা দেয়নি।