WB Centralised Admission

এখনও ৫ লক্ষ পড়ুয়ার ভর্তির সুযোগ, শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভর্তি প্রক্রিয়া

প্রথম পর্বে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪ জন নাম নথিভুক্ত করেছে। তাদের ফিজিক্যাল ভেরিফিশন হবে অগস্ট মাসে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৬:৪৫
Share:

আশুতোষ কলেজ। সংগৃহীত চিত্র।

৫ লক্ষ শূন্য আসন নিয়ে শুরু হতে চলেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে কেন্দ্রীয় ভাবে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে স্নাতক স্তরে প্রায় ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার আসন রয়েছে। প্রথম পর্বে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪ জন নাম নথিভুক্ত করেছে। তাদের ফিজিক্যাল ভেরিফিশন হবে অগস্ট মাসে। উচ্চশিক্ষা দফতর মনে করছে এই সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়ে সাড়ে ৪ লক্ষের মতো হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Advertisement

এত আসন থাকতেও কেন প্রথম রাউন্ডেই প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার জেনারেল আসন ফাঁকা থেকে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উচ্চশিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের ব্যাখ্যা, আসন থাকলেও পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতে বিশেষ পদক্ষেপ করছে উচ্চশিক্ষা দফতর। এখনও পর্যন্ত যারা ভর্তি হয়নি, তাদের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু এবং কলেজের অধ্যক্ষদের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে। ওই পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার আঙিনায় আনতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। যা চলবে ৩০ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত। এতে কিছুটা হলেও ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী রাজ্য।

প্রথম রাউন্ডের পরে দেখা যাচ্ছে, অসংরক্ষিত আসন ফাঁকা থাকছে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার। শতাংশের হিসাবে যা প্রায় ২৭ শতাংশ। সংরক্ষিত আসন রয়েছে ৭৩ শতাংশ। ৪ লক্ষ ৫ হাজার পড়ুয়া ভর্তি হলেও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন পোর্টালে আবেদন করেও টাকা জমা করেনি বা পছন্দের কলেজ পায়নি, এমন পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার। ইতিমধ্যেই শিক্ষাবন্ধু অধ্যক্ষদের মাধ্যমে এই সমস্ত পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। এদের মধ্যে ৫ শতাংশ পড়ুয়া জানিয়েছে, তারা অন্যত্র ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

Advertisement

উচ্চশিক্ষা দফতরে ভাইস চেয়ারম্যান আশুতোষ ঘোষ বলেন, “প্রথম হোক বা দ্বিতীয় রাউন্ড, ভর্তির ক্ষেত্রে আসন ফাঁকা থেকে যাবে কলেজগুলিতেও। তার প্রধান কারণ, যত পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে, তার তুলনায় একাধিক কলেজে বিষয়ভিত্তিক আসন অনেক বেশি রয়েছে।”

উচ্চশিক্ষা দফতর স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষে ভর্তির হার বাড়াতে তৎপর হয়েছে। ৫ লক্ষ ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে যারা এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়নি, তাদের ব্যাপারে তৎপর রাজ্য। এ রাজ্যে সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুল রয়েছে ৯ হাজার ৯০০। সিবিএসসি এবং আইএসি স্কুল রয়েছে ১ হাজার ২০০-এর মতো।তাদের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা পড়ুয়ারা কোথায় ভর্তি হয়েছে, সেই তথ্য জানতে শুরু করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement