NAAC Grade

সার্বিক অগ্রগতি ও শিক্ষকদের দায়বদ্ধতায় ভর করেই ‘এ’ প্লাস উত্তর ২৪ পরগনার মহিলা কলেজ

তিন বারের চেষ্টায় মহিলা কলেজ হিসাবে ন্যাকের সাফল্য পেল উত্তর ২৪ পরগনার হীরালাল মেমোরিয়াল কলেজ ফর উইমেন্স। ন্যাকে রেটিং ‘এ’ প্লাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:২৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অবশেষে এল সাফল্য! ন্যাকে-র বিচারের 'এ প্লাস' রেটিং পেল উত্তর ২৪ পরগনার হীরালাল মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজ ফর উইমেন্স। শিক্ষক, শিক্ষাবন্ধুদের দায়বদ্ধতা এবং ছাত্রীদের সার্বিক মানোন্নয়ন ও গ্রুমিং-এ ভর করেই এই স্বীকৃতি, মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সারা রাজ্যে বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে যারা 'এ' এবং ‘এ’ প্লাস গ্রেড পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হীরালাল মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজ ফর উইমেন্স। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলার ছাত্রীরাই নয়, হাওড়া, হুগলি এবং অন্যান্য জেলা থেকেও এই কলেজে পড়তে আসে মেয়েরা।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণেশ্বরে এই আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কলেজ। এখানে স্নাতকোত্তর স্তর পড়ানো না হলেও নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির স্টাডি সেন্টার রয়েছে। সেখান থেকে পড়ুয়াদের দূরশিক্ষা ব্যবস্থায় স্নাতকোত্তরের সুযোগ রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ সোমা ঘোষ বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনার মহিলা কলেজগুলির মধ্যে আমরা এক নম্বর। গোটা রাজ্যে ‘এ প্লাস' মহিলা কলেজের সংখ্যা তিনটি বা চারটি। তার মধ্যে আমাদের কলেজ অন্যতম। পড়াশোনার পাশাপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর এবং যে সমস্ত বৃত্তিমূলক পাঠক্রম পড়ানো হয় তারই ভিত্তিতে আমরা সাফল্য পেয়েছি। আগামী দিনে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।”

২০০৪ সালে ন্যাক অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য প্রথম নাম নথিভুক্ত করে হীরালাল মেমোরিয়াল কলেজ। সে বছর তারা ‘সি’ প্লাস প্লাস পেয়েছিল। পরর্বতী পর্যায়ে সোমাদেবী দায়িত্ব নেওয়ার পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে আসে বি প্লাস প্লাস গ্রেড।

Advertisement

কলেজের শিক্ষকদের একাংশের মত, এই কলেজে স্কুলের ধাঁচে নিয়মিত ক্লাস হয়ে থাকে। পড়ুয়ারা যে শুধু নিয়ম-শৃঙ্খলায় বাঁধা তা নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করতে অ্যাকাডেমিক মনিটারিং করা হয়। চারটি স্তরে এই মনিটারিং-এর কাজ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অডিটও করা হয়, এই মনিটারিং-এর। গত বছর মহিলা কলেজের নিরিখে এই কলেজে স্নাতক স্তরে মোট পাসের হার ছিল ৯৯.৭৪ শতাংশ। এ ছাড়াও হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রুমিং-এর উপর জোর দেওয়ার কারণে এনসিসি, এনএসএস এবং সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং-এরও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে স্বনির্ভর করার জন্য কেরিয়ার কাউন্সেলিং সেল আছে কলেজে। সেখান থেকে ৬০০-র বেশি ছাত্রী বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পেয়েছেন।

এ ছাড়াও গত পাঁচ বছরে পড়াশোনার পাশাপাশি, বিভিন্ন ওয়েবিনার, সেমিনারের সঙ্গে যুক্ত করা হয় পড়ুয়াদের। প্রায় ২০০-র বেশি এই ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে কলেজের তরফে।

কলেজে মোট বিষয় পড়ানো হয় ২৭টি। তার মধ্যে অনার্স বা মেজর বিষয় রয়েছে ১৮টি। জেনারেল বিষয়ের সংখ্যা ৯। পাশাপাশি ৩০ টির বেশি সার্টিফিকেট কোর্স পড়ানো হয়, যাতে ডিগ্রির পাশাপাশি অন্য রকম প্রশিক্ষণও পায় পড়ুয়ারা। যেমন জুয়েলারি মেকিং, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট এবং হ্যান্ডওয়াশ, ফিনাইল তৈরির মতো কোর্স রয়েছে। বর্তমানে এই কলেজে ছাত্রী সংখ্যা ১,৩২৬।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement