ধস রংপো বাজার সংলগ্ন এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।
নতুন করে আরও পরিস্থিতি খারাপ হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের। মঙ্গলবার বাংলা-সিকিম সীমানায় রংপোর কাছে, নতুন করে ধসে গেল জাতীয় সড়কের একাংশ। রংপো থেকে আঁধেরির মাঝে ঘটনাটি ঘটেছে। বিপজ্জনক ভাবে রাস্তার তিস্তার দিক ধসে নীচে বসে গিয়েছে। তাতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে আরও রাস্তার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তার কাজ কিছু এলাকায় চলছে। তবে নতুন করে কিছু জায়গায় আবার রাস্তা ধসে গিয়েছে। সবই শীর্ষ প্রশাসনিক মহলে জানানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক রাস্তাটি নিলে, তারাই সংস্কারের কাজ করবে। তবু রাজ্য পূর্ত দফতর এখনও সংস্কারের কাজ চলছে।
এই অবস্থায় পুজোয় সিকিমে বেড়ানো কত দূর সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে পর্যটন মহলে। বিশেষ করে, অগস্ট থেকে পুজোর ‘বুকিং’ শুরু হয়। এ বারও নিয়মিত খোঁজখবর করতে পর্যটন সংগঠনগুলির কাছে ফোন এলেও, ‘বুকিং’ কম হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। বাগরাকোট থেকে নির্মীয়মাণ ৭১৭-এ জাতীয় সড়কও বন্ধ। রংপোর ঢোকার মুখে নিয়মিত রাস্তা বসে যাচ্ছে। সিকিমের মেল্লির দিকেও অবস্থা ভাল নয়। লাভা, আলগাড়া দিয়ে গাড়ি ঘুরে গেলেও, প্রচুর সময় লাগে এবং গাড়ি ভাড়া বেশি। তা ছাড়া, আগামী কয়েক মাস বর্ষা থাকার কথা। সেখানে রাস্তা ঠিক করা না গেলে, পুজোর সময় কী পরিস্থিতি হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘সিকিমে নিয়ে পুজোর বুকিংয়ের খোঁজখবর শুরু হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাটের যা অবস্থা, তাতে পুজোর আগে রাস্তা ঠিক না হলে, পুজোর পর্যটনে সমস্যা হতে পারে।’’
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী অন্তত তিন-চার দিন উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, সঙ্গে কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘গরমের সঙ্গে ঘামের অস্বস্তিও থাকবে উত্তরবঙ্গ জুড়েই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy