Advertisement
E-Paper

‘নিষেধাজ্ঞায়’ গোটা গ্রামই বাদ আবাসে

সীমান্তে লোহার গেট পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে গেলে ফুলবাড়ি গ্রামে ঢোকার রাস্তা। গ্রাম ঘিরে রেখেছে নাগর নদী। গ্রামে নেই-এর তালিকা এতটাই দীর্ঘ যে, কী-কী আছে সেটা বলা অনেক সহজ।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মেহেদি হেদায়েতুল্লা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১৮
Share
Save

সীমান্তে কাঁটাতারের ও-পারে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের ফুলবাড়ি গ্রাম। গ্রামের কাছেই নাগর নদী। তা পেরোলেই বাংলাদেশ। নিজভূমে ‘বন্দি’ গ্রামের প্রায় একশো পরিবার। আবাস তালিকায় তাঁদের সকলেই নাম ছিল। কিন্তু সমীক্ষার পরে তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে গোটা গ্রামের নাম। প্রশাসনের দাবি, সীমান্ত এলাকায় বেড়ার ও-পারে পাকা নির্মাণ করার ক্ষেত্রে বিএসএফের নিষেধজ্ঞা রয়েছে। তাই সমীক্ষায় গোটা গ্রামের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

সীমান্তে লোহার গেট পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে গেলে ফুলবাড়ি গ্রামে ঢোকার রাস্তা। গ্রাম ঘিরে রেখেছে নাগর নদী। গ্রামে নেই-এর তালিকা এতটাই দীর্ঘ যে, কী-কী আছে সেটা বলা অনেক সহজ। বছর দু’য়েক আগে গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। আর স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ১৮০ মিটার ঢালাই রাস্তা হয়েছে। মাটি বা পাটকাটির দেওয়াল ও টিনের ছাদ দেওয়া বাড়িগুলোতে একশো পরিবারের বাস। গ্রামের সকলেই কৃষিকাজ করেন। বাজার-হাট, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এমনকি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র—সবই রয়েছে কাঁটাতারের এ-পারে। গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির আলম, আয়ুব আলি বলেন, ‘‘আমরা আশায় ছিলাম ঘর পাব। কিন্ত তালিকায় নাম নেই। ব্লক অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আমরা বেড়ার ও-পারে রয়েছি তাই আমাদের ঘর মিলবে না।’’ বিডিও কৌশিক মল্লিক বলেন, ‘‘বেড়ার ও-পারে স্থায়ী নির্মাণে বিএসএফের ‘নিষেধাজ্ঞা’ আছে। তাই ফুলবাড়ির বাসিন্দাদের আবাসের আবেদনপত্র মঞ্জুর করা হয়নি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Goalpokhar Awas Yojana

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}