পরিবহণ মন্ত্রীর ছেলে বলে কথা। আর সে জোরেই তাঁর একটা ফোনে বাগদাদমুখী যাত্রিবাহী বিমান মাঝ আকাশে মুখ ঘুরিয়ে ফিরে এল বেইরুটে।
এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ইরাকের পরিবহণ মন্ত্রী হাদি আল আমিরির ছেলে মাহদি আল আমিরির বিরুদ্ধে। জরুরি কাজে সম্প্রতি লেবানন গিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বেইরুট থেকে বাগদাদ ফেরার বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। সময় মতো পৌঁছতে পারেননি বিমানবন্দরে। বার বার নাম ঘোষণার পরেও সাড়া না মেলায় নির্দিষ্ট সময়ের ছয় মিনিট পর মাহদিকে ছাড়াই আকাশে ওড়ে লেবাননের যাত্রিবাহী বিমানটি।
বিমান যখন মাঝ আকাশে তখন হঠাৎই বেইরুটের কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন আসে চালকের কাছে। বলা হয়, অবতরণের সম্মতি না মেলায় বাগদাদে নামতে পারবে না বিমানটি। অগত্যা উড়ানের প্রায় মিনিট কুড়ি পর মুখ ঘুরিয়ে বেইরুটে ফিরে আসতে বাধ্য হয় তা। ঘটনার জেরে প্রবল যাত্রী অসন্তোষের সম্মুখীন হতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। সেখানকারই এক কর্মীর অভিযোগ, বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর থেকেই প্রচণ্ড চোটপাট করছিলেন মাহদি আল আমিরি। বিমানটির বিজনেস ক্লাসে টিকিট ছিল তাঁর। মাহদিকে না নিয়েই বিমানটি রওনা হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। সরাসরি ফোন করেন বাগদাদে।
লেবানন থেকে আসা একটি বিমান বাগদাদে নামতে না দেওয়ার কথা স্বাকীর করে নিয়েছেন ইরাকের পরিবহণ মন্ত্রী নিজেও। তবে তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ন’টার পর থেকে কোনও বিমানই বাগদাদে অবতরণের অনুমতি পায়নি। সে সময় বিমানবন্দর পরিষ্কারের কাজ চলছিল। লেবাননের ওই বিমানটি ফিরিয়ে দেওয়ার পিছনে তাঁর ছেলের কোনও হাত নেই।
পরিবহণ মন্ত্রীর এই যুক্তি অবশ্য মেনে নিতে প্রস্তুত নন বাগদাদেরই বিমানবন্দর কর্মীরা। এক অফিসার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে রোজকার মতোই ছিল বিমান চলাচল। সারা দিনে প্রায় ৩০টি বিমান অবতরণ করেছে সেখানে। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র লেবানন থেকে আসা বিমানটিকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy